গুগলের ডুডলে আন্তর্জাতিক নারী দিবস

ই-বার্তা ডেস্ক ।।  আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নারীদের প্রতি সম্মান জানাতে বিশেষ ডুডল করেছে গুগল। বিশেষ দিন, বিশেষ ঘটনা, অর্জন বা বিখ্যাত কোনো ব্যক্তির জন্ম-মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণ করতে গুগলের হোমপেজে তাদের লোগোর পরিবর্তে শিল্পসম্মত লোগো ফুটিয়ে তোলা হয়ে থাকে।

সেই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (৮ মার্চ) সার্চ ইঞ্জিন গুগল তার ডুডলে বাংলা, ইংরেজি, আরবি ও হিন্দিসহ বেশ কিছু ভাষায় ‘নারী’ লিখে এই সম্মান জানিয়েছে।

সেই ডুডলের স্লাইড অংশে রয়েছে বিশ্বব্যাপী নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকা লেখক, নভোচারী, ক্রীড়াবিদ, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন অঙ্গনের ১৩ নারীর বিশেষ বাণী।

১৮৫৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সুতা কারখানার নারী শ্রমিকরা তাদের কাজের সময় ১২ ঘণ্টা থেকে আট ঘণ্টায় কমিয়ে আনার দাবিতে ও বৈষম্যহীন ন্যায্য মজুরি আদায়ের তাগিদে পথে নামেন। তাদের এ আন্দোলনে আটক হন অনেক নারী শ্রমিক।

পরবর্তীতে ১৯০৮ সালে নিউইয়র্কে বস্ত্র শিল্পের নারী শ্রমিকরা কাজের সুস্থ পরিবেশ, সময় ও যোগ্য মজুরির দাবিতে আন্দোলন করেন। জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সেবছর সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নারীদের সম্মানে যুক্তরাষ্ট্রের সমাজতান্ত্রিক দল পরের বছর অর্থাৎ ১৯০৯ সালে ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখ জাতীয়ভাবে নারী দিবস পালন করে।

এরপর ১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। এতে অংশ নেয় ১৭টি দেশ থেকে আসা ১শ জন নারী প্রতিনিধি। এতে ক্লারা জেটকিন প্রতি বছর ০৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব দেন।

সম্মেলনে নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে ১৯১১ সাল থেকে ০৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা করা হয়।

এ ঘোষণা আলোড়িত করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে। ১৯১১ সালের ১৯ মার্চ প্রথমবারের মতো অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, জার্মান ও সুইজারল্যান্ডের এক মিলিয়নেরও বেশি নারী যোগদান করে নারী দিবসের ৠালিতে। একই সঙ্গে এগিয়ে আসে পুরুষরাও। তারা নারীদের ভোটদান ও সরকারি অফিসে কাজ করার অধিকার আদায়ের দাবি জানান।

ধীরে ধীরে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে যেতে থাকে নারী অধিকার বিষয়ক সচেতনতা।

১৯১৩ সাল থেকে ১৯১৪ সালের মধ্যে রাশিয়া ফেব্রুয়ারির শেষ রোববার পালন করে আন্তির্জাতিক নারী দিবস। ১৯১৪ সালের ৮ মার্চ প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেওয়ার দাবিতে ইউরোপে নারীরা র‌্যালি বের করেন। সে বছর বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশেই দিনটি পালন করা হয়।

ই-বার্তা /  তামান্না আলী প্রিয়া