গুরুদাসপুরের গ্রামে গ্রামে টহল দিচ্ছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী

নাটোর: প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার গ্রামে গ্রামে ঘুরে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন টিমে ভাগ হয়ে হ্যান্ড মাইকে ও মুখে এলাকার জনসাধারণকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে ঘোরাফেরা, আড্ডাবাজি এবং খেলাধুলা করতে নিষেধ করছেন। জরুরী প্রয়োজনে মাস্ক পড়ে ও সামাজিক দুরত্ব সবসময় বজায় রাখতে অনুরোধ জানাচ্ছেন তারা।

উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, অলিগলি থেকে শুরু করে চাতাল, মাঠসহ সব জায়গায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনায় কাজ করছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গৃহিত কর্মসূচির বাস্তবায়ন সম্পর্কে জানতে চাইলে গুরুদাসপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) মো: ময়েজ উদ্দিন বলেন, ‘কমিউনিটি লেভেলে করোনার তীব্র বিস্তার ঠেকাতে ও জনসাধারণকে প্রয়োজন ব্যতিত বাইরে থাকতে বিশেষভাবে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। সবাই যেন মাস্ক পড়ে এবং বিশেষ কাজে বাইরে বের হলেও নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে চলে সে আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি এলাকাবাসীকে সবিনয় অনুরোধ করা হচ্ছে ঘরে থাকার।

পুলিশের পাশাপাশি গণসচেতনতায় গুরুদাসপুরে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। গুরুদাসপুরে টহলরত সেনাবাহিনী টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেলেন সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মো: নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা নাটোর জেলায় ৯ টিমে ভাগ হয়ে বিভিন্ন এলাকায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা, সতর্কতা ও সাবধানতায় কাজ করে যাচ্ছি। জায়গায় জায়গায় সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করছি, মুখে মাস্ক পড়তে এবং সবাইকে বেশি বেশি সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার করার জন্য অনুরোধ করছি।’

দেশের মানুষকে করোনা ভাইরাসের মরণ কামড় থেকে বাঁচাতে দিনরাত জনসচেতনায় ও জনকল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে সরকার ও সচেতন নাগরিক সমাজ। সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদে থাকতে ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে, বিশেষভাবে।

গুরুদাসপুর উপজেলা মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সভাপতি ও দৈনিক দিবারাত্রী’র প্রকাশক সম্পাদক অধ্যপক আত্হার হোসেন বলেন, সরকারী নিয়ম মেনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সকল শ্রেণীপেশার মানুষকে জনসচেতনতায় কাজ করতে হবে। দূরে থেকে, ঘরে থেকে প্রতিরোধ ও প্রতিহত করতে হবে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের মরণ ছোবল।

নাটোর প্রতিনিধি