গ্রামীণফোন ও রবিতে প্রশাসক বসাচ্ছে বিটিআরসি

ই- বার্তা ডেস্ক।।   ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় দেশের বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবিতে প্রশাসক নিয়োগের জন্য টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ।

আজ বৃহস্পতিবার অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

মন্ত্রী বলেন, গ্রামীণফোন ও রবিতে প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার প্রস্তাব পাঠিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এখন বিটিআরসি ঠিক করবে কাকে প্রশাসক নিয়োগ দেবে এবং কীভাবে দেবে।

গ্রামীণফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তির দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করে আসছে বিটিআরসি। কয়েক দফা চেষ্টায় সেই টাকা আদায় করতে না পেরে লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর নোটিস পাঠানো হয় দুই অপারেটরকে। নোটিসে ৩০ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল।

গ্রামীণফোন এক ই-মেইল বার্তায় বলেছে, ‘টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের অমীমাংসিত এবং ভিত্তিহীন অডিট দাবির জটিলতা নিরসন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করার জন্য আমরা অর্থমন্ত্রী, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমাদের লাইসেন্স বাতিল সংক্রান্ত বিটিআরসির ভিত্তিহীন শোকজ নোটিসটি যেহেতু তুলে নেয়া হয়নি, সেহেতু আমরা আমাদের প্রত্যুত্তর দাখিল করেছি।’

রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, ‘বিতর্কিত নিরীক্ষা আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসি আমাদের কাছে যে লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়েছে, তার আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। কারণ এ লিগ্যাল নোটিস জারির আগেই আদালতে এ বিষয়ে একটি মামলা বিচারাধীন আছে। আর বিচারাধীন কোনো বিষয়ের ওপর কোনো মন্তব্য আমাদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। তবে এ বিষয়ে আমরা আগে যা বলেছি, নতুন করে তার ওপর কিছু বলার নেই।’

বিটিআরসির দাবি করা টাকার ওই অঙ্ক নিয়ে আপত্তি রয়েছে গ্রামীণফোন ও রবির। বিটিআরসি সালিশের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তিতে রাজি না হওয়ায় এর আগেই দুই অপারেটর আদালতে যায়।

এ অবস্থায় এই দুটি অপারেটরে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় বিটিআরসি।