ঘুমের জন্য নয়, কারা কর্তৃপক্ষ আমাকে আদালতে উপস্থিত করেনি

ই-বার্তা ডেস্ক।।  রবিবার নাইকো দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে এসে খালেদা জিয়া আইইজীবীদের সাথে আলাপ কালে বলেন, ঘুমের কারণে নয়, আদালতে সময়মতো আসার জন্য রেডি হয়ে বসে ছিলাম।  কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষই আমাকে আদালতে উপস্থিত করেনি।   

এদিন এ মামলায় তিন আসামির পক্ষে ডিসচার্জ শুনানি শেষ হয়।  শুনানি শেষে বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেন। 

দুপুর ১২টা ৩৪ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।  এ সময় বিএনপি নেতারা তাকে সালাম জানিয়ে জানতে চান কেমন আছেন।  জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আর ভালো থাকা।  শরীরটা ভালো যাচ্ছে না।’

কথোপকথনের একপর্যায়ে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের  উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, ‘ওই দিন কি হল? আপনারা আসেননি?’  উওরে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমরা তো এসেছিলাম। আপনি তো আসেননি।’ প্রত্যুত্তরে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আদালতে আসার জন্য আমি তো রেডি হয়ে বসে ছিলাম। আমাকে গিয়ে বলল, যেতে হবে না।  এখানে মহিলা কারারক্ষী উপস্থিত।  তারাই বলবে।’

দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মো. মাসুদ আহমেদ তালুকদার আদালতের উদ্দেশে বলেন, ‘ওই দিন ম্যাডামকে আদালতে আনা হয়নি।  তিনি রেডি হয়ে বসে ছিলেন। অথচ কি হাস্যকর কথাগুলো হল তখন।’ তিনি বলেন, ‘আমরা খালেদা জিয়ার চিকিৎসার আবেদন করেছি। ২৭ ফেব্রুয়ারি গ্যাটকো মামলার শুনানি শেষে ম্যাডামকে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি পড়ে গিয়েছিলেন। দু’জন কারারক্ষী তাকে ধরে ফেলায় রক্ষা হয়েছে।  তা না হলে আজ আমরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি হতাম।  এ ছাড়া এরই মধ্যে সাত হাজার পৃষ্ঠার নথিপত্র আমরা পেয়েছি।  আরও এক হাজার পৃষ্ঠা এখনও বাকি আছে।  ওই নথিগুলো পেলেই আমরা তার ডিসচার্জ শুনানি করব।  এ জন্য সময় প্রার্থনা করছি।’

পরে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘সাত হাজার পৃষ্ঠার কপি না পেলে তারা শুরু করবেন না।  অথচ আজ তারা চাইলে শুরু করতে পারতেন।  উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৯ মার্চ দিন ধার্য করেন এবং খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন।’ 

ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু