চকবাজার ট্র্যাজেডি, আইইবির তদন্ত প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর
ই-বার্তা ডেস্ক।। ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্ত প্রতিবেদন ২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দিয়েছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) বিশেষজ্ঞ দল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেমিক্যালের গুদাম থেকেই আগুন লেগেছে। প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেয়া প্রতিবেদনে অগ্নিকাণ্ডের কারণ চিহ্নিত করে পুরান ঢাকাকে নিরাপদ করতে আটটি সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে।
আইইবির তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশার সাংবাদিকদের বলেন, ‘চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত সম্পর্কে নানা তথ্য পাওয়া গেছে। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে আমাদের ধারণা হয়েছে, কেমিক্যাল থেকেই ওয়াহেদ ম্যানশনে অগ্নিকাণ্ড ঘটছে। এর বাইরে অন্য কোনো কারণে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে এমনটা আমাদের মনে হয়নি।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চুড়িহাট্টার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজ এবং ক্যামেরায় তোলা কিছু ভিডিও চিত্রে আগুন ছড়িয়ে পড়তে দেখে অনেকে দাবি করছেন, আগুনটা বাইরে থেকে শুরু হয়ে ভবনে ছড়িয়েছে। কিন্তু মসজিদের পাশে সিসিটিভি ফুটেজে বিস্ফোরণের সঙ্গে এয়ার ফ্রেশনারের ক্যান দেখতে পাওয়া যায়। তাতে আগুন ওয়াহেদ ম্যানশনের দোতলা হতে শুরু হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ওই ভবনে বিপুল পরিমাণে অতি দাহ্য পদার্থ থাকায় বিস্ফোরণে বাইরের দেয়াল ভেঙে পড়ে। ভেতরের দিকে অক্সিজেন কম থাকায় আগুন সেদিকে বাড়তে পারেনি। এজন্য আশেপাশের ভবনের ক্ষতি হয়নি। ওয়াহেদ ম্যানশনের একতলা সিঁড়িঘরেও তেমন ক্ষতি হয়নি।
ভিন্নধর্মী তথ্য সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত বিপরীতমুখী নানা তথ্য আসায় ঘটনাস্থলের পরিপূর্ণ ফরেনসিক তদন্ত প্রয়োজন। শুধু চাক্ষুষ পরিদর্শনে যা দৃষ্টিগোচর হয়েছে তাতে ওয়াহেদ ম্যানশনের দ্বিতীয় তলার দেয়ালে কোনো ভি’সাইন বা আওয়ার গ্লাস তৈরি হলেও এখন সেটা জানা সম্ভব নয়।
এতে আরো বলা হয়, বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনগুলোও অক্ষত ছিল। পরিদর্শনকালে ওয়াহেদ ম্যানশনের দ্বিতীয় তলায় বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনীসামগ্রীর মজুদের ভস্মীভূত ও প্রায় অক্ষত অবশেষ দেখা যায়। বিশেষ করে সেগুলোর মধ্যে ছিল- বাদামের তেল, রেড়ির তেল, জলপাইয়ের তেল, এয়ার ফ্রেশনার ও সুগন্ধি।
ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু