চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা দালালের উৎপাতে অতিষ্ঠ

ই-বার্তা ডেস্ক ।।  চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনেরা দালালের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।

চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনদের প্রতারিত করছে এসব দালাল চক্র। ভালো মেশিনে স্বল্প মূল্যে পরীক্ষার কথা বলে বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক-প্যাথলজিতে নিয়ে যান রোগীদের। সেখানে চড়া মূল্য আদায় করা হয় রোগীর কাছ থেকে।

 

এদিকে রোগীরা কোন ক্লিনিকে যাবেন, তাও ঠিক করে দেন এক-শ্রেণির অসাধু চিকিৎসক। ব্যবস্থাপত্রে ওই ক্লিনিকের নাম লিখে দেন তারা। চিকিৎসক, ওয়ার্ডবয় ও নার্সরা চমেক হাসপাতালে টেস্ট করাতে রোগীর স্বজনদের নিরুৎসাহিত করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া দালালদের হাসপাতালে ঢুকতে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধেও।

রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, ৩০-৪০ জন পুরুষের পাশাপাশি ১০-১২ জন মতো নারীও হাসপাতালটিতে দালালিতে জড়িত। তারা পাশাপাশি অ্যাপ্রোন পরে হাসপাতালে ঢুকে বাচ্চা ও ওষুধ চুরির মতো ঘটনাও ঘটাচ্ছেন প্রতিনিয়তই।

তবে নিরাপত্তারক্ষীরা বলছেন, অনেক নারী দালাল চিকিৎসক-নার্সের ড্রেস পরে বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বিঘ্নে প্রবেশ করেন। ফলে অনেক সময় তাদের চেনা সম্ভব হয় না।

জানা গেছে, হাসপাতালটি ঘিরে গড়ে ওঠা অর্ধশতাধিক বেসরকারি ক্লিনিক-প্যাথলজির মালিকরাই এসব দালাল নিয়োগ করে নিজেদের ব্যবসা পরিচালনা করছেন। আলাদা আলাদা জোনে ভাগ হয়ে অবস্থান করেন দালালরা। আউটডোরে থাকে বেশিরভাগ নারী দালাল। জানা গেছে, সম্প্রতি হাসপাতালের গাইনি বহির্বিভাগ থেকে পাঁচ নারী দালালকে আটক করা হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে বহির্বিভাগ থেকে দুই দালালকে আটক করে পুলিশ। তবে দালালমুক্ত করতে একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও রাজনৈতিক চাপে সম্ভব হচ্ছে না। প্রভাবশালী চক্রের চাপে তারা তাৎক্ষণিকভাবে ছাড়া পেয়ে যান।

ই-বার্তা /  তামান্না আলী প্রিয়া