চীনকে ঠেকাতে সীমান্তে বিশেষ পর্বত বাহিনী মোতায়েন ভারতের

সীমান্তে চীনা আগ্রাসন ঠেকাতে বিশেষ পর্বত বাহিনী মোতায়েন করেছেন ভারত। চীন-ভারতের মধ্যে ৩ হাজার ৪৮৮ কিলোমিটার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (সীমান্ত) রয়েছে। এই পুরো সীমান্ত জুড়ে বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করেছে দেশটি।

চীনা লিবারেশন আর্মি পশ্চিম বা মধ্য সেক্টরে সীমান্ত লঙ্ঘন করলে জবাব দেবে এ বিশেষ বাহিনী।

সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চীনা সেনাবাহিনী সীমান্ত অতিক্রম করে কোনো আগ্রাসন চালালে তা প্রতিহত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এ বিশেষ বাহিনীকে।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক দশক ধরে যুদ্ধের জন্য এসব বাহিনীকে প্রস্তুত করা হয়েছে। চীনা সেনাবাহিনীর বিপরীতে মোতায়েন করা এসব পর্বত বা পাহাড়ি সেনার গেরিলা ও অতি উচ্চতায় যুদ্ধের প্রশিক্ষণ পেয়েছে। এসব কসরত কার্গিল যুদ্ধে দেখানো হয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে।

ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, পর্বতে যুদ্ধ করা কঠিন। এসব বাহিনী বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত। এরা অতি উচ্চতায় থেকে যুদ্ধ করতে পারে। শতাব্দি ধরে উত্তরখন্ড, গর্খা, অরুনাচল এবং সিকিম সেনাবাহিনী পাহাড়ে যুদ্ধের সক্ষমতা অর্জন করেছে।

গত সপ্তাহে লাদাখের গালওয়ান উপত্যাকায় চীন-ভারতের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে এক কর্নেলসহ ভারতের ২০ সেনা নিহত হয়। এছাড়া ৭৬ সেনা সদস্য আহত হয়।

অসমর্থিত সূত্রে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে চীনের ৪৩ সেনা নিহত হয়েছে দাবি করা। তবে চীনের পক্ষ থেকে হতাহতের বিস্তারিত জানানো হয়নি। ওই দিনই ভারতীয় ১০ সেনাসদস্যকে ধরে নিয়ে যায় চীন। পরবর্তীতে দুই দেশের মধ্যে চলা সামরিক বৈঠকে তাদের ফেরত দেয় বেইজিং।

এরপরই শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি জানান, কেউ (চীন) সীমান্ত অতিক্রম করেনি।

পরবর্তীতে কূতনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা হলেও উভয় দেশ সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন অব্যাহত রেখেছে।