চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলাতে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি করেছে বেইজিং

ই-বার্তা ডেস্ক।।  হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীদের প্রতি কড়া সমর্থন জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট কংগ্রেস। এর মাধ্যমে হংকংয়ে জ্বলতে থাকা বিক্ষোভ-আগুনে যুক্তরাষ্ট্র ঘি ঢালল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।  জবাবে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে নাক না গলাতে হুশিয়ারি দিয়েছে বেইজিং।  

এদিকে পার্লামেন্টে বার্ষিক ভাষণ (স্টেট অব ইউনিয়ন) দিতে গিয়ে বুধবার বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতাদের তোপের মুখে পড়েন হংকংয়ের নির্বাহী প্রধান ক্যারি ল্যাম।

রয়টার্স বলছে, বাণিজ্যযুদ্ধ নিয়ে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের আলোচনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে এ বিলগুলো পাস হল। প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যরা জানান, তারা চীনের বিরুদ্ধে আগ্রাসী অবস্থান নিতে এবং চার মাস চলা হংকংয়ের আন্দোলনে সমর্থন প্রকাশেই বিলগুলোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। 

‘হংকং হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি অ্যাক্ট’ বিলে হংকংকে বিশেষ সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবছর শহরটির স্বায়ত্তশাসন বলবৎ আছে কি না, সে সম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রত্যয়নপত্র নেয়ার কথা বলা হয়েছে।

‘প্রটেক্ট হংকং অ্যাক্ট’ বিলে শহরটির প্রশাসনের কাছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হতে পারে এমন সামরিক ও বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রপাতি বিক্রি বন্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে বলা হয়েছে।

তৃতীয় বিলটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হংকংয়ের সম্পর্কের স্বীকৃতি এবং শহরটির বাসিন্দাদের আন্দোলনের অধিকারে সমর্থন জানানো হয়। চতুর্থ বিলটিতে চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের নির্বাহী মেং ওয়ানঝুকে যুক্তরাষ্ট্রে বহিঃসমর্পণে চীনের বিরোধিতার প্রতিক্রিয়ায় কানাডার ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গ্যাং শুয়াং বলেন, সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও অগ্রগতির স্বার্থ রক্ষায় চীন কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।

বিলগুলো আইনে পরিণত হতে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন লাগবে। এরপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষর বা ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে এ প্রক্রিয়ার সমাপ্তি ঘটবে।

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু