চীনে মুসলিমদের ওপর নানা নির্যাতনের সঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে তাদের মসজিদ

ই-বার্তা ডেস্ক।।  সোয়াস ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের রিডার র‍্যাচেল হ্যারিস দ্য গার্ডিয়ানের সম্পাদকীয়তে জানান, গত সপ্তাহে টুইটারে শন ঝ্যাং নামে একজন সাংবাদিক স্যাটেলাইটের তোলা দু’টি ছবি প্রকাশ করেছে। সেখানে চীনে সং মসজিদ ভাঙার প্রমাণ ধরা পড়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে।

এছাড়া কথিত ‘পুনর্বাসন শিবিরে’ সংখ্যালঘু মুসলিমদের আটকে রেখে নির্যাতন চালাচ্ছে চীন।

ছবিতে দেখা যায়, দক্ষিণের হোতান অঞ্চলের কেরিয়া মসজিদটি যেখানে ছিল, ওই জায়গা এখন একদম ফাঁকা। প্রায় ৮০০ বছর আগে ১২৩৭ সালে অসাধারণ এই স্থাপত্য নিদর্শনটি তৈরি হয়েছিল। ১৯৮০ ও ১৯৯০’র দশকে এটির ব্যাপক সংস্কার করা হয়।

২০১৬ সালে তোলা একটি ছবিতে দেখা যায় এক উৎসবের দিন মসজিদটির সামনের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়েছে। আর ২০১৮ সালে দেখা মসজিদটি যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে শুধুই সমান জমি।

র‍্যাচেল আরো বলেন, ২০১৭ সালে কুমুল এলাকায় গিয়ে একজন প্রতিবেদক স্থানীয় কর্মকর্তার কাছে জানতে পারেন, ওই অঞ্চলের ৮০০টি মসজিদের মধ্যে ২০০টি ইতিমধ্যেই ধ্বংস করে ফেলা হয়েছিল এবং ২০১৮ সালের মধ্যে আরও ৫০০ মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয়ার কর্মসূচি নেয়া হয়েছিল।সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে এক ধরনের বন্দীশিবিরে আটকে রেখেছে চীন। দেশটি মুসলিমদের ওপর গত কয়েক বছর ধরে নানা অত্যাচার করছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও পশ্চিমা অনেক দেশ অভিযোগ তুলেছে।

উল্লেখ্য, চীনে মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের ব্যাপারে বরাবরই অভিযোগ করে আসছে তুরস্ক। দেশটি গত মাসে উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর এ নির্যাতনকে ‘মানবতার জন্য লজ্জাজনক’ বলে আখ্যা দেয়। একই সঙ্গে বন্দীশিবির বন্ধ করে দেয়ার আহ্বান জানায়। এছাড়া অনেক পশ্চিমা দেশ মুসলিমদের ওপর নির্যাতনের কড়া নিন্দা জানায়। গত বছর জাতিসংঘ জানায়, উইঘুরের ১০ লাখ মুসলিম মানুষকে আটক রেখেছে চীন।