চুক্তি না পড়ে, না বুঝে হতাশা প্রকাশ একটি পুরনো অভ্যাসঃ তথ্যমন্ত্রী

ই-বার্তা ডেস্ক।।  চুক্তি না পড়ে, না বুঝেই যারা হতাশা প্রকাশ করে, সেটা তাদের পুরনো কু-অভ্যাসেরই ফল বলে জানিয়েছেন, তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে বিএনপি, বাসদ, তেল-গ্যাস ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির মন্তব্য প্রসঙ্গে সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘সবকিছুতেই হতাশা ব্যক্ত করা, না পড়েই প্রতিক্রিয়া দেওয়া তাদের অভ্যাস, এমনকি নিজের ব্যাপারেও তারা আশাবাদী নয় বলেই মনে হয়। সে কারণেই তারা বোঝেনি যে এলপিজি মানে প্রাকৃতিক গ্যাস নয়; বরং ‘ক্রুড অয়েল’ বা অশোধিত পেট্রোলিয়াম পরিশোধন করার সময় প্রাপ্ত উপজাত, যা রপ্তানির সুযোগ দেশের জন্য অর্থনৈতিকভাবে অনেক লাভজনক।’ 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশ থেকে আমরা যে ক্রুড অয়েল আমদানি করি তা রিফাইন বা পরিশোধন করার সময় তেলের পাশাপাশি প্রাপ্ত উপজাত হচ্ছে এই এলপিজি, যা রপ্তানির সুযোগ আমাদের অর্থনীতির জন্য সুসংবাদ।’ 

ফেনী নদীর পানি ভারতের ব্যবহার প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা থেকে আসা ফেনী নদীর পানি ভারত আগে থেকেই ব্যবহার করে আসছিল, এবারের চুক্তিতে তাকে একটি কাঠামো-সীমার মধ্যে আনা হয়েছে। আর ১ দশমিক ৮২ কিউসেক হচ্ছে মাত্র ৫১ লিটার পানি।

প্রধানমন্ত্রীর এ সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারে ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর’ (এসওপি) বা কার্যপ্রণালি স্বাক্ষর একটি অসামান্য অগ্রগতি। ভারতের চট্টগ্রাম ও মোংলা, বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের ফলে আমাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ও বন্দর ব্যবহারজনিত নানামুখী আয় বৃদ্ধি পাবে। 

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু