চেয়ারম্যান এনামউদ্দিনের জঙ্গি তাণ্ডব!

ধারাবাহিক প্রতিবেদনের পর্ব-২

 

ই-বার্তা।। প্রবাসী অধ্যুষিত জেলা গুলোর মধ্যে মৌলভীবাজার অন্যতম। এখানকার প্রায় সব পরিবারেরই কেউ না কেউ বিদেশে থাকেন। অনেক বাড়ি প্রায় পুরুষ শুন্য। মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর কাঠালতলী ইউনিয়নটিও প্রবাসী অধ্যুষিত। আর এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নাম এনামউদ্দিন। কর্মকাণ্ডের জন্য ইতোমধ্যে এলাকায় যার পরিচিতি বাড়ছে তাণ্ডব এনাম নামে।

 

এনাম চেয়ারম্যানের নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে অনুসন্ধান করে ধারাবাহিক প্রতিবেদন করেছেন  আশরাফুজ্জামান মণ্ডল। আজ থাকছে দ্বিতীয় পর্ব-

 

জঙ্গি তাণ্ডব

দু বছর আগে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এনামউদ্দিন। এর পর সর্বগ্রাসী হয়ে ওঠে তার ক্যাডার বাহিনী। এনামউদ্দিনের তাণ্ডব এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে প্রাণে বাঁচতে নিজের চাচাকে পর্যন্ত স্বপরিবারে এলাকা ছাড়তে হয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে খুন, প্রবাসীর বউ নির্যাতন, প্রতিবেশীর বাড়ি, এনজিওর জায়গা দখল থেকে শুরু করে এমন কোন অপরাধ নেই যা এনামউদ্দিন করেননি ।

 

তবে এসব ঘটনাকে জামায়াত এবং জঙ্গি নিধন বলেই মনে করেন দীর্ঘদিন বিএনপি’র রাজনীতিতে জড়িত থাকার পর আওয়ামী লীগে যোগদানকারী এনামউদ্দিন। জানা গেছে, চেয়ারম্যানের এ অপরাধ জগতে সহযোগীতা করে যাচ্ছেন তার ছোট ভাই নাজিমউদ্দিন এবং আজিজ, মালেক, জিয়াসহ বেশ কয়েকজন একাধিক হত্যা ও মাদক মামলার আসামী। চেয়ারম্যান এনামউদ্দিনের নামেও রয়েছে হত্যা, মাদক, অপহরণ, মাধবকুণ্ড ইকো পার্ক এলাকার গাছ নিধন, উচ্ছেদ, সাংবাদিক নির্যাতনসহ প্রায় ডজন খানেক মামলা। তবে যাই থাকুক না কেনো এনামউদ্দিনের তাণ্ডবের সামনে যেন দাঁড়াতেই পারে না থানা পুলিশ। উল্টো তার বিরুদ্ধে মামলা করে মরার উপর খাড়ার ঘা নিয়ে এলাকা ছাড়া হয়েছেন অনেকে।

 

এসব অভিযোগের বিষয়ে গত ১৭ এপ্রিল মঙ্গলবার অনুসন্ধানে নামলে দেখা যায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনেকেই ভয়ে মুখ খোলেননি। কাঠালতলী বাজারে দুজন যুবকের কাছে জানতে চাইলে প্রথমে ইতস্তত করলেও একজন সাহস করে কিছু বলতে গেলে পাশ থেকে একজন পান দোকানদার বলে ওঠেন কিতা ও মইরবার চাইও? (কি হে মরতে চাও) কে মারবে ঐ দোকানদারকে প্রশ্ন করলে পাল্টা প্রশ্ন করেন, সাংবাদিক নি? কত সাংবাদিক আইও যাইও কিতা কইরছে? ডেভিট (স্থানীয় সাংবাদিক) মাইর খাইরছে ! পুলিশ কিছু করে কি না জানতে চাইলে অনুরোধ করেন তার দোকানের সামনে থেকে সরে যেতে। তবে অন্যরা মুখ না খুললেও এনামউদ্দিন তার এ ধরণের কর্মের জন্য বেশ গর্বিতই বটে।

 

বেশিরভাগ অভিযোগ প্রায় এক বাক্যে স্বীকার করে নেন তিনি। ভুক্তভোগীদের জঙ্গি আখ্যা দিয়ে বলেন, এদের এলাকা ছাড়া করা আমার দায়িত্ব।

 

 

তৃতীয় পর্ব আগামীকাল………

ই-বার্তা/এ এম