ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে ঢাবিতে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮

ই-বার্তা।।  বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা হয়েছে সোমবার। আর কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ডাকসুর তিন নেতাসহ অন্তত ৮জন আহত হয়েছেন। আহতদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যার দিকে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে। এ সময় ছাত্রলীগের আরেক গ্রুপের নেতাকর্মীরা পদবঞ্চিতদের ওপর হামলা করেন।

হামলায় আহতরা হলেন- ছাত্রলীগের বিগত কমিটির সদস্য ও ডাকসুর বর্তমান সদস্য তানভীর হাসান সৈকত, কবি সুফিয়া কামাল হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সদস্য তিলোত্তমা শিকদার, ডাকসুর আরেক সদস্য ফরিদা পারভীন, ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক বি এম লিপি আক্তারসহ কয়েকজন।

ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বিতর্কিত ও বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগে বহিষ্কৃতদের পদায়ন করার প্রতিবাদে বিকালে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও ভুক্তোভোগীরা।

ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও ক্ষুদ্ধ এসব নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে গেলে নতুন কমিটিতে পদ পাওয়া ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাদিক খান ও অর্থ সম্পাদক মো. রাকিব হোসেনের নেতৃত্বে সাত আটজন অনুসারীসহ এই মিছিলের ওপর হামলা চালান।

হামলার বিষয়ে তানভীর হাসান সৈকত বলেন, আমরা মধুর ক্যান্টিনের সামনে আসার পর সাদিক খান ও রাকিব হোসেন ও তাদের সাত আটজন অনুসারী মিলে আমাদের কলার ধরে মারধর করে। এসময় তারা লিপি, তিলোত্তমা ও ফরিদা পারভীনের গায়েও হাত তোলে।

হামলার বিষয়ে তিলোত্তমা শিকদার বলেন, আমরা যখন মধুর ক্যান্টিনে সবাই মিলে মুভ করা শুরু করলাম তখন সাদিক খান আমার উপর ও লিপির উপর হামলা করে, এক পর্যায়ে তারা আমাদের ধাক্কা দেয় এবং লিপির উপর হামলা করে আমি বাধা দিতে গেলে আমার ওপরও হামলা করে। আমরা এমন ছাত্রলীগতো চাইনি।

সাদিক খানের ব্যাপারে বলতে যেয়ে তিলোত্তমা বলেন, সাদিক খান যিনি বিবাহিত, যার স্ত্রী কিছুদিন আগে মারা গেল; এমন বিতর্কিত ব্যক্তি কিভাবে এ কমিটিতে স্থান পায়।

এরআগে এদিন বিকালে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়।

সংগঠনটির সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনের পর ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহসভাপতি হয়েছেন ৬১ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ১১ জন, সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পেয়েছেন ১১ জন। এছাড়া বিষয়ভিত্তিক সব সম্পাদক এবং সহ সম্পাদক ও উপসম্পাদকের নামও ঘোষণা করা হয়।

এর আগে, ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগ ২৯ তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে নিজেরা কমিটি করতে ব্যর্থ হলে ৩১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংগঠনিক অর্পিত ক্ষমতাবলে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেন।