ছাত্রলীগের দু’পক্ষের দ্বন্দ্বে পোড়ানো হলো বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রী  ছবি সংবলিত পোষ্টার

ই-বার্তা ।।  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান  ও তার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহর ছবি সংবলিত ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে ও পুড়িয়ে ফেলেছে ছাত্রলীগের অপরপক্ষের কর্মীরা।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারী) ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার, কাউলিবেড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগর দুই পক্ষের দ্বন্দের কারনে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায় ভাংগা থানার আওতাধীন প্রায় প্রতিটি ইউনিয়ন এর কমিটি নতুন করে অনুমোদন দেয়া হলেও কাউলিবেড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ এর সকল কার্যকরন এখনো ধারাবাহিক ভাবে চলছে সাত বছর আগের পুরোনো কমিটির মাধ্যমেই। কিন্ত বছরখানেক আগে কমিটির সভাপতির অকাল মৃত্যুর পর সংগত কারনে সাধারন সম্পাদক ও হাল ছেড়ে দিয়ে কর্মজীবনে ব্যস্ত হওয়ায় কমিটির সকল দায়িত্ব নিয়ে সঠিকভাবে নেত্রত্ব দিয়ে যাচ্ছেন কমিটির বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক – হিমেল খান।

কিন্ত কমিটির নতুন সম্মেলন ও অনুমোদন প্রকাশ করার কথা থানা ছাত্রলীগ জানাতেই ঝামেলা শুরু হয়ে যায় দুই সভাপতি প্রার্থী দুইজন মো: হিমেল খান ও নাঈম এবং একই সাথে সাধারন সম্পাদক প্রার্থী ও দুইজন রাবিত হাসান যুবরাজ ও মো:রাসেল মাতুব্বর মুন্সী।এর মধ্যে। তাই  সাধারনত নির্বাচন কে সামনে রেখে যাতে কোনো ঝামেলার উদ্ভব না হয় সেদিক বিবেচনা করেই কমিটির নতুন অনুমোদন প্রকাশ স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানা যায়।

জানা যায় আজ সকাল আনুমানিক সকাল ৮ ঘটিকায় ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে কাউলীবেড়া ইউনিয়ন এর আওমালীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক আছাদ মাতুব্বর এর উপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে লোকজন তাকে মারধর করে একই দলের লোকজন।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাঈম মুন্সী প্রতিহিংসার জের ধরে ফাসিয়ে দেওয়ার করেন কাউলিবেড়া ইউনিয়ন ও তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগ এর ছাত্রনেতা মো:হিমেল খান কে।

তবে নাঈম মুন্সী শত্রুতা ও মিথ্যা চক্রে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিমেল খান ফাসাতে গিয়ে ছাত্রলীগ নাঈম মুন্সি তার বড় ভাই নাজমুল মুন্সী এবং ছাত্রলীগ থেকে বিতাড়িত নেতা মো: ওয়াহিদ হাসানের নির্দেশে এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহর ছবি সংবলিত ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে ও পুড়িয়ে ফেলে।

ঘটনাস্থলে কাউলিবেড়া ছাত্রলীগ এর বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক মো:উজ্জ্বল, প্রচার সম্পাদক- টিটু, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক, আজাদ হোসেন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও এই অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

হিমেল খান ই-বার্তাকে জানান আমি গত দুইদিন যাবত ঢাকা আছি। আমার অনার্স ৪র্থ বর্ষ পরীক্ষার ফরমপুরন ও তিনটা ইনকোর্স পরীক্ষা চলছে ।। হঠাৎ এমন মিথ্যে ঘটনায় তাকে হিংসাত্তক মাইন্ড নিয়ে নাঈম এর প্রতি দু:খ প্রকাশ করেন।।

হিমেল আরো বলেন সামনে নির্বাচন এর সময়ে নিজেদের পদ পাওয়ার আক্ষেপে এ নাঈম এর মিথ্যে অপচেষ্টা শুধু ওর নিজের সম্মান নয় সেই সাথে নৌকার ক্ষতি ও ছাত্রলীগ পরিবার কে লজ্জার দারপ্রান্তে নিয়ে পৌছালো।।

আরো জানা যায় এর আগেও নাঈম মুন্সী ইভটিজিং সহ প্রায় ৫ টা মামলার আসামী ছিলেন।।সে সময়ে নাঈম মুন্সি ও ভাংগা থানার নেতাকর্মীদের সাথে মুঠোফোন এ যোগাযোগ করলে ফোনে নাঈম মুন্সী জানান তিনি যা করেছেন তা ভেবে চিন্তে উপর পক্ষকে জানিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত নিয়েই করেছেন।

 

ই-বার্তা / এস এস