ছাত্রলীগ প্রতিনিয়ত ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছে ছাত্রীদের

ডেস্ক রিপোর্ট।।কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্রলীগ প্রতিনিয়ত ধর্ষণের হুমকি এবং  লাঞ্ছিতই করছে ছাত্রীদের বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।গতকাল শহীদ মিনারে কোটা সংস্কারের দাবি এবং ছাত্রলীগ কর্তৃক হামলার বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে ছাত্রলীগ ধারালো ছুরি, হাতুড়ি, বাঁশের লাঠি, হকিস্টিক ব্যবহার করে ঝাঁপিয়ে পড়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর।

 

তিনি বলেন,সাধারণ শিক্ষার্থীদের গুমের হুমকি প্রদান, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শারীরিকভাবে নাজেহাল, গালাগালিসহ ছাত্রীদেরকে শুধু লাঞ্ছিতই করছে না, ধর্ষণেরও হুমকি দিচ্ছে আওয়ামী সরকারের ছাত্রলীগ নামক সোনার ছেলেরা।সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।রিজভী বলেন, গতকাল শহীদ মিনারে ছাত্রলীগের তান্ডব পুলিশের উপস্থিতিতেই ঘটেছে। শেখ হাসিনার প্রশ্রয়ে ছাত্রলীগের নিষ্ঠুরতায় বাংলাদেশে এখন তামসিক যুগ চলছে। ন্যায্য দাবির পক্ষে সোচ্চার হতে গিয়ে বাকস্বাধীনতা হরণ করার সম্পূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আর ছাত্রলীগকে। আওয়ামী লীগ সহিষ্ণুতার শিক্ষা কখনোই গ্রহণ করেনি।তিনি আরো বলেন, শাসকের বিরোধীতা করার অর্থ রাষ্ট্রের বিরোধীতা করা নয়। আর এই বিরোধীতার জন্য নিরপরাধ ব্যক্তিদেরকে পুলিশ ও দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে রক্তাক্ত করা ঘোরতর অন্যায় ও পাপ।কোটা আন্দোলন নিয়ে সরকারের নাটক ও প্রতারণার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা ক্ষুদ্ধ। তুমুল ছাত্র আন্দোলনের মুখে কোটা আন্দোলনের দাবি মেনে নেয়ার ঘোষণা দিয়ে সেদিন প্রধানমন্ত্রী যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন সেটিতে ব্যর্থ হয়ে এখন তিনি আন্দোলনকারীদের দমাতে ছাত্রলীগকে লেলিয়ে দিয়েছেন। অথচ ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন বিশ্ব বিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রলীগের নামে কিছু হচ্ছে কী না জানতে হবে। নিজ দলের অনাচার ও অপকর্ম তার না জানারই কথা, চোখে না পড়ারই কথা। ছাত্রলীগকে রক্তের নেশা পাইয়ে দিতে উৎসাহিত করেছে আওয়ামী নেতারাই। সুতরাং তাদের রক্তাক্ত আক্রমণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সাহেবের দৃষ্টিগোচর না হবারই কথা।তিনি আরো বলেন, আপনারা যদি জনসমর্থিত সরকার হতেন তাহলে বুঝতেন যে দেশের সর্বত্র ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে জনগণের কী পরিমান ধিক্কার উঠেছে। নির্যাতিত ছাত্রীদের মুখ থেকে মর্মস্পর্শী বর্ণনা আক্রমণকারীদের সম্পর্কে জনগণের ঘৃনার প্রকাশ তীব্র মাত্রা লাভ করেছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বরিশাল ও সিলেটের বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাতে চলছে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে হুমকি-ধামকি। মন্ত্রীর পদমর্যাদায় দায়িত্বে থাকার পরেও আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ তার ছেলেকে বিজয়ী করার জন্য নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন এবং তিনি কোন নির্বাচনী আচরণবিধিই মানছেন না, তাছাড়া তিনি ভোটারদের ওপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন। মোট কথা তিন সিটিতেই সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ বিদ্যমান নেই। নির্বাচন কমিশনের কাছে উল্লিখিত বিষয়ে ধানের শীষের প্রার্থীদের পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হলেও সেগুলো আমলে নেয়া হচ্ছে না। নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো মানে অরণ্যে রোদন।

 

 

ই-বার্তা।ডেস্ক