ছয়দিন পর গ্রেফতার হল আরেক ধর্ষক

ই-বার্তা ডেস্ক।।   কবিরহাট উপজেলায় গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনার ছয়দিন পর আরেক ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে মূলহোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হল। এদিকে ধর্ষণের আলামত সিআইডিতে পাঠিয়েছে পুলিশ। যদিও রহস্যজনক কারণে বলা হচ্ছে, ধর্ষণের আলামত মেডিক্যাল তদন্তে পাওয়া যায়নি।

বুধবার গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার দশবাহ গ্রামের একটি বাড়ি থেকে গণধর্ষণ মামলার আসামি জামাল উদ্দিনকে (২৬) পুলিশ গ্রেফতার করেছে। জামাল কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নব গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে। ডিবির ওসি আবুল খায়ের ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন জানান, জামালকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। তবে আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে আদালতে আসামি মো. জাকির হোসেন জহির ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করলেও রহস্যজনক কারণে মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত না পাওয়ার উল্লেখ করা হয়েছে। যুগান্তরকে পুলিশ জানায়, গৃহবধূর পরনের পোশাক সিআইডিতে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে।

মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত না পাওয়া প্রসঙ্গে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. খলিল উল্লাহ বলেন, আদালতে যুবলীগ নেতা জহির ধর্ষণের কথা স্বীকার করায় মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত না পাওয়া গেলেও মামলার বাদী ও সাক্ষীদের জবানবন্দিতে ঘটনা সত্য প্রমাণিত হতে পারে।

উল্লেখ্য, উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের নব গ্রামে ১৮ জানুয়ারি রাতে গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরে ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা জাকির হোসেন জহির ও তার ৫-৬ জন সহযোগী তাকে গণধর্ষণ করে। স্বামীর অনুপস্থিতিতে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে তারা গণধর্ষণ করে। এ সময় গৃহবধূর চিৎকারে লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। পরদিন থানায় জহিরসহ অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে জহিরকে গ্রেফতার করে।

ই-বার্তা/ শফিকুল ইসলাম