জামালপুরে ধর্ষণের পর ব্লেড দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করেছে শরীর

ই-বার্তা ।।পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত বিক্ষত করে দিয়েছে এক বখাটে। জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায়  এ ঘটয়ান ঘটেছে। এছাড়া সদর উপজেলার কেন্দুয়া এলাকায় এক কলেজ শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ করেছে বখাটেরা।

 

এসব ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। এদিকে আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।

নির্যাতিতার স্বজনদের অভিযোগ, বাড়ির আঙিনা থেকেই শনিবার রাতে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয় মাত্র পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া ওই ছাত্রীকে। এমনকি ধর্ষণের পরে ধারালো ব্লেড দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সৌমিত্র কুমার বণিক বলেন, হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরে প্রাথমিকভাবে কিছু আলামত পাওয়া গেছে।

এদিকে শুক্রবার রাতে পাশের উপজেলায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়। স্বজনদের অভিযোগ মায়ের সঙ্গে বাড়ির পাশের মাদ্রাসায় ধর্ম সভা শুনতে যাওয়ার সময় একই এলাকার বখাটে সাব্বির আকন্দ ও তার ৫-৬ জন সহযোগী তাকে অপহরণ করে গণধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, পাশাপাশি এলাকায় দুটি নির্মম ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এ ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবার বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জামালপুরের পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারে এরইমধ্যে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। তাদের আইনের আওতায় এনে তদন্তের পর প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি দেয়া হবে।

নির্যাতিতা দুজনকেই হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।