জামায়াতের সাথে বিএনপিকেও জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে

ই-বার্তা ডেস্ক।।  রোববার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতি ভাষণ সম্পর্কে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে শুধু জামায়াতকে নয়, বিএনপিকেও জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। 

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিএনপিই যুদ্ধাপরাধীদের পুনর্বাসিত করেছে।  মন্ত্রী বানিয়ে লাখো শহীদের রক্তস্নাত জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিল।  আগুন সন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা ও সীমাহীন দুর্নীতির জন্যও বিএনপিকে ক্ষমা চাইতে হবে।  আর ক্ষমা না চাওয়ার কারণেই দেশবাসী একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিল, তারাই জঙ্গি সৃষ্টি এবং অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করেছিল।  জনগণ সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করেছে।  দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ যে উন্নয়নের মহাসড়কে তা রাষ্ট্রপতির ভাষণে ফুটে উঠেছে।  গত ১০ বছরে দেশের নৌপরিবহন খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।  বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে দেশের নদ-নদীগুলো মৃতপ্রায় অবস্থায় গিয়েছিল।  এখন সেসবের জীবন ফিরিয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।  ঢাকার চারপাশের চারটি নদী ও কর্ণফুলী নদীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে অভিযান চলছে।  দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেহেতু আপোষহীন।  ফলে কোনো শক্তিই অবৈধ দখলদারদের রক্ষা করতে পারবে না।  নৌপরিবহন ব্যবস্থাকে সচল করতে প্রয়োজনীয় সব প্রকার পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার পক্ষে দেশের মানুষ অভূতপূর্ব গণরায় দিয়েছেন।  এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের তরুণ প্রজন্ম জানিয়ে দিয়েছে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষেই থাকতে চায়।  উন্নয়ন-সমৃদ্ধি ও ডিজিটাল বাংলাদেশের পক্ষেই থাকতে চায়।  এ কারণে তারা স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের জোটকে ব্যালটের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করেছে।’

আলোচনায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ছাড়াও অংশ নেন- মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ও মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।

ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু