জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন

ই-বার্তা ।।  চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। তবে এই সংখ্যা গত বছরের চেয়ে বেড়েছে।

রোববার (৬ মে) সকালে পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেওয়ার পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এই তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এবার ১০ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬২৯ জন পরীক্ষার্থী।

তবে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ কিছুটা বেড়েছে বলে জানান মন্ত্রী। এবার আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৭ হাজার ৯৩৪ জন।

মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিল পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার তিনশ ৭১ জন।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি পরীক্ষায় মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার চারশ ১৩ জন।

এসএসসি-সমমানের পরীক্ষার ফলাফল বেলা ১টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিস্তারিত জানানো হবে। বেলা দুইটায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ওয়েবসাইট ও মুঠোফোনে নির্ধারিত পদ্ধতিতে ফল প্রকাশ করা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে ও বিদেশের কয়েকটি কেন্দ্রে একযোগে এসএসসি ও সমমানের লিখিত বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত চলে।

এ বছর ৩ হাজার ৪১২টি কেন্দ্রে মোট ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৯ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তার মধ্যে ১০ লাখ ২৩ হাজার ২১২ জন ছাত্র, ছাত্রীর সংখ্যা ১০ লাখ ৮ হাজার ৬৮৭ জন। পাবলিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যেই ফল প্রকাশ করে আসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

তথ্যমতে, গত বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পায় ১ লাখ ৪ হাজার ৭৬১ জন।

এদিকে, এবারের ফলাফলেও লেটার গ্রেডের পাশাপাশি বিষয়ভিত্তিক নম্বরও জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা। তবে তা শুধু শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটে। অবশ্য, শারীরিক শিক্ষা ও ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ের নম্বর ওয়েবসাইটে যুক্ত থাকলেও এই দুই বিষয়ের নম্বর জিপিএ নির্ধারণে ভূমিকা রাখে না বলে জানিয়েছেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।

অন্যদিকে, এবারও ফলাফলে থাকছে না সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (সেরা–২০ ও সেরা–১০) তালিকা। ফলাফলের দিক দিয়ে শীর্ষ তালিকায় ঠাঁই পেতে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করছে, এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সেরা প্রতিষ্ঠানের তালিকা তুলে দেয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। যা ২০১৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল থেকে কার্যকর করা হয়।

যেসব ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে ফলাফল: www.educationboardresults.gov.bd, ও সকল শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট–এ পাওয়া যাবে। এর মধ্যে ফল প্রকাশের পরপরই (দুপুর ১টা থেকে) শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল (বিষয় ভিত্তিক নম্বরসহ) পাওয়া যাবে।

এছাড়া স্ব–স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে ফলাফল পাওয়া যাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল ডাউনলোড পূর্বক প্রিন্ট করে আগের মতোই নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেয়ার সুযোগ পাবেন।

মোবাইলের এসএমএস’র মাধ্যমে ফলাফল: সব অপারেটর (টেলিটক, রবি, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও এয়ারটেল) থেকে : মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC অথবা DAKHIL লিখে একটি space দিয়ে শিক্ষাবোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর (chi) লিখে একটি space দিয়ে পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর লিখে একটি space দিয়ে পাসের সাল লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। সংক্ষেপে : চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের ক্ষেত্রে SSC (space) chi (space) Roll (space) ২০১৮ লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।

মাদ্রাসাবোর্ডের ক্ষেত্রে: Dakhil (space) Mad (space) roll (space) ২০১৮ লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।

এছাড়া টেকনিক্যাল (কারিগরি) বোর্ডের ক্ষেত্রে: SSC (space) tec (space) roll (space) ২০১৮ লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।