জীবন বাঁচাতে মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকে ইয়েমেনের শিশুরা

ই-বার্তা ডেস্ক।।  যে বয়সে স্কুলে থাকার কথা আহমেদ আল-হামাদির সেই বয়সে পরিবারের মুখে দু’বেলা দু’মুঠো খাবার তুলে দিতে কাজ করতে হচ্ছে গোরস্থানে।  তার বয়স মাত্র ১৩ বছর।  যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের রাজধানী সানায় এরকম অনেক নিষ্ঠুর গল্প খুজে পাওয়া যাবে। 

ইয়েমেনের রাজধানী সানাইতে স্বজনদের কবর জিয়ারত করতে আসেন হাজারো শোকার্ত মানুষ। তাদের কাছে পানি বিক্রি করে কিংবা কবরগুলো ধুয়ে-মুছে সাফ করে দিয়ে কিছু টাকা উপার্জন করে হামাদি।  সেই টাকায় চলে তার সংসার। ইয়েমেনে হামাদির মতো অনেক শিশুই এখন কাজ করে গোরস্থানে। 

আহমেদ আল-হামাদি বলে, ‘আমরা সাধারণত দাফনের জন্য অপেক্ষা করি।  যদি কেউ মারা না যায় তবে আমরা গোরস্থানে ঘুরাঘুরি ও খেলাধুলা করি।’ 

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আরব বিশ্বের মধ্যে ইয়েমেনে শিশু শ্রম সবচেয়ে বেশি। শিশুদের জন্য দেশটি চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।  মেয়ে শিশুদের বাধ্য হয়ে বাল্য বয়সেই বিয়ে দিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং ছেলে শিশুদের যোদ্ধা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।  ইউনিসেফ ইয়েমেনকে ‘শিশুদের জন্য দোজখ’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

গৃহযুদ্ধ, দারিদ্রতা, খাদ্যের সঙ্কট মহামারি আকার ধারণ করেছে আরব বিশ্বের এই দেশটিতে।  সেখানে বসবাসরত লাখো মানুষ অনাহারে, অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। 

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু