ঝুলে আছে দেড় লাখ মাদক মামলা

ই-বার্তা ডেস্ক।।  বর্তমানে দেশের নিম্ন আদালতসমূহে বিচারাধীন দেড় লাখ মাদক মামলা।  পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে পড়ে আছে ৩০ হাজার মামলা।  এমন অবস্থা কাটিয়ে উঠতে বিচারাধীন সব মাদক মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির  নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সেই সঙ্গে সাক্ষী হাজির করে মামলা নিষ্পত্তিতে সাহায্য করতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ওসি ও সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তাদেরও নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। 

ইয়াবা সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে আদালত বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান কঠোর হয়েছে।  গ্রেফতার করা হচ্ছে মাদক কারবারীদের।  অনেকে আবার বন্দুকযুদ্ধে মারাও যাচ্ছে। সাক্ষী হাজির না হওয়ায় মামলার বিচার কাজ শেষ করা যাচ্ছে না।  এটা কেন? তখন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ বলেন, আদালতগুলোতে অনেক মামলা বিচারাধীন।  বিচারক সংখ্যাও কম।  সাক্ষীও ভয়ের কারনে অনেক সময় আদালতে সাক্ষ্য দিতে চান না।  তাই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট জানায়, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ৬৪টি জেলা আদালতে ১ লাখ ৫০ হাজার ৬৯২টি মামলা বিচারাধীন অবস্থায় আছে।  এর মধ্যে পাঁচ বছরের অধিক সময় ধরে বিচারাধীন রয়েছে ৩০ হাজার ৩৩৪টি মামলা। 

এদিকে গতকাল হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন ইয়াবা মামলার আসামি মিজানুর রহমান।  তার কাছ থেকে ছয়শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করার পর ২০১৫ সালের পহেলা ডিসেম্বর মাদারীপুরের রাজৈর থানায় মামলা করা হয়।

এ মামলায় আসামির পক্ষে শুনানিতে আইনজীবী ফজলুর রহমান বলেন, তিন বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি। বিচার বিলম্বের জন্য এভাবে কতদিন একজন ব্যক্তি কারাগারে থাকবে?

নিম্ন আদালতসমূহে বিচারাধীন সকল মাদক মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে করতে তদন্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট আদালতের আইন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

ই-বার্তা/মোঃ সালাউদ্দিন সাজু