টর্চার সেলে নিয়ে যেভাবে নির্যাতন করতেন খালেদ

ই- বার্তা ডেস্ক।।   সম্প্রতি ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।

র‌্যাব এর হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর তার টর্চার সেলের খোঁজ মেলে রাজধানীর কমলাপুরে।টর্চার সেলে রাখা হত নির্যাতনের অনেক ধরনের যন্ত্রপাতি। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে টর্চার সেলে নিয়ে নির্মম নির্যাতন চালানো হত। দলে না ভিড়লে, চাঁদা না দিলে কিংবা জমি বা ফ্লাট নিয়ে দ্বন্দ্বের সমাধান না হলেই ডাকা হত টর্চার সেলে। কথাবার্তায় সমাধান না হলে ভাগ্যে জুটত ইলেকট্রিক শক।

এভাবেই ত্রাসের রাজত্ব ধরে রাখার অভিযোগ রয়েছে গ্রেফতার যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, তার কথামতো না চলায় ভয়ঙ্কর শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন তারা।

জানা গেছে, কমলাপুর ছাড়াও মতিঝিল, ফকিরাপুল, খিলগাঁও, রামপুরা ও শান্তিনগরে নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠায় খালেদ গড়ে তুলেছিলেন বেশ কয়েকটি টর্চার সেল। এর মধ্যে শান্তিনগরে হাবিবুল্লাহবাহার কলেজ ক্যাম্পাসের টর্চার সেলটি অন্যতম। কলেজের সাবেক ছাত্রলীগের নেতারা জানান, প্রায়ই কলেজে অস্ত্রসহ শোডাউন করতেন খালেদ।

দলে না ভেড়ায় টর্চার সেলে যাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছে এই কলেজের অসংখ্য ছাত্রনেতার। তার বিপক্ষে যাওয়ার মাশুল হিসেবে রাজনীতি আর পড়াশোনা তো বটেই, দেশ ছাড়তেও বাধ্য হয়েছেন অনেকে। তার কথামত না চলায় ছাত্রলীগের বহু কর্মীও বয়ে বেড়াচ্ছেন নির্মম নির্যাতনের ক্ষত। নির্মম নির্যাতনে পঙ্গু হয়ে যাওয়ার ঘটনাও আছে। খালেদ মাহমুদ ভুঁইয়া দ্বিতীয় দফায় আরও ১০ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।