টিউশনের টাকায় মাঝরাতে গতিরোধকে রঙ করলো ছাত্রলীগ কর্মীরা

ই-বার্তা।।  কলা ভবনের পেছনের দিকের এই গেটে স্পিড ব্রেকারে রঙ লাগাচ্ছিলো তারা চার বন্ধু। ওই চার তরুণ জানিয়েছেন, শেখ হাসিনার উৎসাহে, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর দিক নির্দেশনায় চার বন্ধু মিলে নিজেরাই রঙ করে দিচ্ছিলো এই গতিরোধকে।

 

রাত তখন একটা। সুনসান নীরবতার লেকচার থিয়েটার ভবনের সামনের রাস্তায় চলন্ত বাইকের পথ আগলে দাঁড়িয়েছে চার যুবক। পরিচয় জানতে চাওয়াতেই জানালেন ছাত্রলীগের কর্মী আমরা, আপনি যেতে পারবেন না। স্বাভাবিক ভাবেই ভয় পেলেন মোটরসাইকেল আরোহী। তবে খানিকপরেই আশ্বস্ত হলেন চার তরুণের কথা শুনে।সেখানে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সহ সম্পাদক রুদ্র রাইয়ান খান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক সাইমন সানি, এস এম হল ছাত্রলীগের রাফসান খান ফারিজ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মিঠুন বাড়ৈ।

 

কথা বলে জানা গেলো, তাদের হলের ছোট ভাই তিনজন সহ, সাইমন সানি নিজেও এই জায়গায় রাতের বেলা স্পিড ব্রেকার না দেখার কারণে, দূর্ঘটনায় পড়েছিলো। প্রশাসনের নাকের ডগায় থাকা এই ব্যস্ত সড়কে ধারাবাহিক অবহেলায় বিরক্ত হয়ে নিজেরাই টিউশন এর জমানো টাকা দিয়েই মধ্যরাতে স্পিড ব্রেকারে রঙ লাগানোর কাজে হাত দেয়।এ ব্যাপারে এই চার তরূনের দাবি, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ছাত্রলীগের সমর্থন শুরু থেকেই ছিলো। সেই দাবিকে বাস্তব রূপ দিতে প্রত্যেকে প্রত্যেকের জায়গা থেকেই কাজ করতে পারে। ছোট ছোট খানা খন্দ কয়েকজন মিলে নিজেরাই ভরাট করে ফেলা যায়। গোলাম রাব্বানী ভাইয়ের সাথে কথা বলি রাতে, তিনি এই ব্যাপারে সর্বাত্মক সহযোগিতাই শুধু করেননি, পুরো কাজের তদারকি করেন এবং দিক নির্দেশনা দেন। তার নির্দেশনায় এই গভীর রাতেই আমরা কাজে নেমে পড়ি। শোকাবহ আগস্ট যেনো, আর নতুন কোনো শোকের সৃষ্টি না করে, সে জন্যই নিরাপদ সড়ক করে দিতেই এই ব্যবস্থা নিলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।