ডাকসু অনিয়মের প্রমাণ দিয়ে প্রশাসনের ডাক পেলেন রাশেদ

ই-বার্তা ডেস্ক।।  ডাকসু নির্বাচনে অনিয়মের প্রমাণসহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি দিয়েছেন নির্বাচনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী রাশেদ খান। আগামী রোববার দুপুর ১২টায় এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের মিটিংয়ে ডাক পেয়েছেন তিনি

গতকাল সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের  রাশেদ বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার ডাকসু নির্বাচনের জালিয়াতি, কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ প্রদানের শেষ সময় ছিলো। আমি ওইদিন দুপুর ২ টায় ২০টি সংযুক্তি আকারে তথ্য প্রমাণসহ অভিযোগ জমা দিয়েছি।’

রাশেদ আরও বলেন, ‘তদন্ত কমিটি থেকে বিকেলে আমাকে কল করে জানানো হয়, তারা অভিযোগের সকল তথ্য-প্রমাণ দেখেছেন। এ ব্যাপারে আগামী রোববার দুপুর ১২টায় প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার রুমে আমিসহ একটি মিটিং ডাকা হয়েছে। সেখানে আমার অভিযোগগুলো বর্ণনা করতে বলা হয়েছে।’

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বরাবর দেওয়া চিঠিতে বিষয় উল্লেখ করা হয় ‘ডাকসু নির্বাচন-২০১৯ এ জালিয়াতি, কারচুপি ও অনিয়মের প্রমাণ দাখিল এবং পুনঃনির্বাচনের আবেদন প্রসঙ্গে।’

এতে বলা হয়, ‘গত ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে আমি রাশেদ খান, ব্যাংকিং এন্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগ, ১৯তম ব্যাচ, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলাম। উক্ত পদে আমার নামে দেখানো ভোটের সংখ্যা ছয় হাজার ৬৩টি এবং একই পদে জয়ী ঘোষিত প্রার্থীর নামে দেখানো ভোটের সংখ্যা ১০ হাজার ৪৮৪টি।’

‘ডাকসু নির্বাচনে সংগঠিত হওয়া জালিয়াতি, কারচুপি ও অনিয়মের চিত্র উঠে এসেছে দেশের সকল খ্যাতনামা গণমাধ্যমে, যা ভোটের দিন আমি স্বচক্ষে দেখেছি এবং জালিয়াতি, কারচুপি এবং অনিয়মের প্রমাণগুলো এই আবেদনের সংযুক্তি অংশে ২০টি সংযুক্তি দিয়েছি। আমি মনে করি, এসব জালিয়াতি, কারচুপি এবং অনিয়মের ঘটনা এড়িয়ে যেতে পারে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।’

চিঠিতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা পুনরুদ্ধার ও ছাত্রসমাজের দাবিকে আমলে নিয়ে ডাকসু নির্বাচনের ফলকে বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বায়ক জানিয়েছেন।

ই-বার্তা / আরমান হোসেন পার্থ