ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিএনপি নেতা

ই-বার্তা ডেস্ক   ।।   বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন লন্ডন প্রবাসী তারেক রহমানের মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের বিরুদ্ধে অশ্লীল, বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য রাখার অভিযোগে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এবং ভার্চুয়াল টকশোর উপস্থাপক শেখ মহিউদ্দিন হেলালের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বগুড়া জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলাম রোববার রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এ মামলা করেন। বিচারক জিয়াউর রহমান উপস্থিত না থাকায় সোমবার এ ব্যাপারে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। রোববার বিকালে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম জানান, বগুড়ায় এ আদালত না থাকায় তিনি রাজশাহীতে মামলা করেছেন। তিনি আশা করে আদালত মামলাটি গ্রহণ করে ন্যায়বিচার করবেন।

আদালতে মামলা দায়েরের সময় বগুড়া অ্যাডভোকেটস বার সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম টুকু, আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট আলী আজগর, ফোরাম নেতা অ্যাডভোকেট সহল, বগুড়া গাবতলী পৌরসভার মেয়র সাইফুল ইসলাম, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজ তৌফিক জাহিদী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মামলার বাদী বগুড়া জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলাম বলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান কিছুদিন আগে শেখ মহিউদ্দিন হেলালের ভার্চুয়াল টকশোতে অংশ নেন। সেখানে তিনি (ডা. মুরাদ) ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে অশ্লীল ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য রাখেন। এ কারণে তিনি রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। বিচারক জিয়াউর রহমান অনুপস্থিত থাকায় সোমবার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

ডা. মুরাদ হাসান সম্প্রতি ভার্চুয়াল টকশোতে তারেক রহমানের মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তার এ বক্তব্যে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তার পদত্যাগের দাবি উঠে।এছাড়া ঢাকার সিনেমার এক নায়িকার সঙ্গে তার অডিও ফাঁস হলে তিনি সমালোচনার মুখে পড়েন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। একই সঙ্গে জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুরাদ হাসান জামালপুর আওয়ামী লীগের পদ হারান।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে ডা. মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী করা হয়। ২০১৯ সালের মে মাসে তাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।