ডিজিটাল যুগে এনালগ শিক্ষা অফিসার

ই-বার্তা।।  ডিজিটাল যুগে এনালগ শিক্ষা অফিসার।  খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে  চলছে যশোরের শার্শার প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। জনবলের অভাব না থাকলেও সময়মত কাজ না হওয়ায় সাধারন শিক্ষকদের দিনের পর দিন ধর্ণা দিতে হচ্ছে উপজেলা শিক্ষা অফিসে। পাশা পাশি বাড়ছে ভোগান্তি।

প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষা ব্যবস্থা ও পাঠদান কার্যক্রম মনিটরিং নেই বললেই চলে। উপজেলার ৫টি ক্লাস্টারে ৫জন সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার কর্মরত থাকলে ও বিদ্যালয় গুলো ঠিকমত দেখভাল করেন না সহকারী শিক্ষা অফিসাররা। শার্শায় উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১২৬টি। এই ১২৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় কে ৫টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একেকটি  ভাগকে বলা হয় ক্লাস্টার। যার অর্থ গুচ্ছ। প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর দৈনন্দিন পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনার সময়সূচী সকাল ৯ টা হতে বিকাল ৪.৩০ মিনিট। কিন্তু শার্শাও এমন অন্তত ১০টি বিদ্যালয় আছে যে বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষকরা প্রতিদিন ১০ টার পরে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। আর বিদ্যালয় ছুটি বিকাল ৪.৩০ মিনিট হলেও তারা বিকাল ৩ টায় বিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে যান।

শিক্ষকদের পুরানো প্রাপ্ত টাইমস্কেল, ইনক্রিমেন্ট, স্কুল কন্টিনজেন্সি সহ বিভিন্ন বিল জমা দেওয়ার পরা ও তিনি সে গুলো দিনের পর দিন ঝুলিয়ে রাখেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রব। সময়মত কাজ না হওয়ায় শিক্ষকদের মধ্যে এই শিক্ষা  অফিসার নিয়ে নেতিবাচক ধারনা তৈরি হয়েছে।  শার্শা উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখ আব্দুর রবের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের অভিযোগের শেষ নেই। শিক্ষকরা বলছেন, শিক্ষা অফিসার তাদের কোন
কাজ সময়মত করেন না। কাজ ঝুলিয়ে রাখতে তার পছন্দ। যে কাজ একদিনে করা যায়, সে কাজ তিনি সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে ফেলে রাখেন। আর বদলী নিয়ে তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, তিনি জেলার অন্যন্যা উপজেলা গুলোর মত শিক্ষকদের বদলীর প্রস্তাব জেলা শিক্ষা অফিসে নির্ধারিত সময়ে পাঠান না বলে শার্শার উপজেলার
বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত শিক্ষকরা। জানুয়ারি-মার্চ সময়ে পছন্দমত বিদ্যালয়ে বদলী থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। অভিযোগ আছে সহকারী শিক্ষা অফিসার রাজমনির বিরুদ্ধে। ইতোপূর্বে তাকে বিভিন্ন অনিয়মের জন্য শার্শা উপজেলা থেকে তাকে বদলীকরে মনিরামপুর উপজেলায় পাঠায় জেলা শিক্ষা অফিস। শিক্ষা অফিসার
আব্দুর রব তার নানা কুকীর্তি ঢাকতে তাকে আবার শার্শায় বদলী করে নিয়ে আসে।

জানা গেছে, প্রতি বছর জানুয়ারি – মার্চ এই তিন মাস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের বদলীর সময় নির্ধারিত। উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে সঠিক সমায়ে বদলীর প্রস্তাব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে না পাঠানোর কারনে বদলীর প্রস্তাব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে আটকে গেছে।ফলে উপজেলার কয়েক’শ সাধারন শিক্ষক পছন্দমত বিদ্যালয়ে বদলী থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সাধারন শিক্ষকরা বলছেন বিদ্যালয় গুলোর ঠিকমত মনিটরিং না করায় শিক্ষকদের শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে আগমন প্রস্থান একেবারেই হ-য-ব-র-ল অবস্থা। শার্শার প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শিক্ষা অফিসার শেখ আব্দুর রব অতি চালাক একজন মানুষ। তার বিরুদ্ধে কথা বলে নিজের বিপদ ডেকে আনতে চায় না এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখ আব্দুর রবের সাথে যোগাযোগ করা তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন বদলী না হতে পারা শিক্ষকরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত করছে।

জসীম উদ্দীন, বেনাপোল প্রতিনিধি