‘ডি-রকস্টারস এবং আমাদের একরাশ আক্ষেপ’

ডি-রকস্টারস এর মত প্রোগ্রাম যদি আবার হতো? সেখান থেকে যদি আমাদের ইন্ড্রাস্ট্রিতে আমরা নতুন কোন Powersurge, Mechanix, Radioactive কিংবা Dreek এর মত ব্যান্ড পেতাম? সেখানে যদি Dead’s Foe, offstreet, ATR, Border, Equal, Dark, বৃত্ত এর মত ব্যান্ডগুলো পারফর্ম করতো? যদি বিচারকের আসনে থাকতো শাফিন ভাই, সুমন ভাই, এরশাদ ভাইয়ের মত কেউ! যদি আমরাও এসএমএসের মাধ্যমে আমাদের পচ্ছন্দের ব্যান্ড’কে ভোট দিতে পারতাম?

কিন্তু এই ‘যদি’ শব্দ’টা কখনোই বাস্তব রূপ নেবেনা। কারণ আমরা এখন এমন এক জাতিতে পরিণত হয়েছি যারা টাকা দিয়ে দূরে থাক এমবি খরচ করেও বাংলা ব্যান্ডের গান শুনি না কিন্তু আবার ফ্রি’তে কন্সার্ট পেলে মিস দেই না।

Dead’s Foe এমন একটা ব্যান্ড ছিলো যারা এই শো’তে আশার আগে সাইকেডেলিক শব্দ’টার সাথে পরিচিতই ছিলো না। এমনকি তারা পিংক ফ্লয়েড এর নাম’ও শোনেনি তখন! কিন্তু তাদের মিউজিকে ছিলো পুরো সাইকেডেলিক ফ্লেভার, অসাধারণ কম্পোজিশনে মাধ্যমে তারা তাদের গাওয়া ‘অবিশ্লেষিত’ গানটি মুগ্ধ করেছিলো বিচারক থেকে শুরু করে সবাই’কে। তারা এখন নেই। নেই বৃত্ত, offstreet কিংবা ATR।

যদি জিজ্ঞেস করেন, “বৃত্ত আবার কারা?” তারা প্লিজ বৃত্তের ‘আমার চেনা হাইওয়ের ধারে রেইনট্রি’টা আজও আছে’ শুনবেন। শোনার পরে আর প্রশ্ন করার দরকার হবে না।

ডি-রকস্টারস এমন একটি শো ছিলো যেখানে ব্যান্ডগুলোর মেম্বারদের চোখে মুখে ছিলো স্বপ্ন। কেউ অফিস ফাঁকি দিয়ে ফরমাল ড্রেসে এসে গিটার বাজাতেন কেউ আবার স্কুল ফাঁকি দিয়ে ড্রামস। ‘Border’ ব্যান্ডের ড্রামারের বয়স তখন ছিলো মাত্র ১৬!

আমাদের খামখেয়ালি আর তাদের ব্যাস্ততায় সেই শো’এর বেশীরভাগ ব্যান্ড’ই হারিয়ে গেছে। কোন ব্যান্ড আসলে হারায় না, ব্যান্ড মেম্বার’রা কেবল তাদের স্বপ্ন ফেলে অভিমানে গা ঢাকা দেয়। তবে আজ থেকে প্রায় ১৩ বছর আগে যেই রোমাঞ্চের জন্ম দিয়েছিলো ডি-রকস্টারস তা আরো কয়েক যুগ আমাদের পড়ন্ত বিকেলের নস্টালজিয়ার কারণ হবে, আরো কয়েকযুগ হয়তো আমরা কিছু মানুষ Dead’s Foe, ATR, offstreet এর অপেক্ষায় থাকবো।

ই-বার্তা/ মাহারুশ হাসান