‘ঢাকায় ৯৮ ভাগ হাসপাতাল আগুনের ঝুঁকিতে’

ই-বার্তা।।  রাজধানীতে ৯৮ শতাংশ হাসপাতাল ও ক্লিনিকই অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান।

বুধবার সকালে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর হাসপাতালের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য দেন তিনি।

‘হাসপাতালের অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, ২০১৭ সালে তারা ঢাকা মহানগরীর ৬২৩ হাসপাতালে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাচাই করেছেন। জরিপে দেখা গেছে, ৯৮ শতাংশ হাসপাতালই অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ‘ওয়েক আপ কল’ ছিল। অধিকাংশ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড হলে সেখানে রোগী ও স্বজনরা কীভাবে বের হবেন, তা কেউ জানেন না। অনেক হাসপাতালে স্টোরেজ সিস্টেম ঠিক নেই, রোগীদের বের হওয়ার ব্যবস্থা একেবারে নাজুক। ফায়ার সার্ভিস প্রতিনিয়ত ঝুঁকি মনিটর করে সে অনুযায়ী করণীয় সুপারিশ করে আসছে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত হাসপাতাল প্রতিনিধিদের উদ্দেশে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান বলেন, হাসপাতাল পরিচালনার জন্য বিশেষ স্থাপনা দরকার হয়। সেখানে অগ্নি নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। দুর্বল হাউসকিপিং, কারপার্কিং, রান্নাঘর বয়লার হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড ঝুঁকি বাড়ায়। এজন্য অগ্নি-দুর্ঘটনা বিষয়ে হাসপাতালে কর্মীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে নিয়মিত ফায়ার ফাইটিং মহড়া ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালাতে হবে। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাপনা থাকার পাশাপাশি এসব যন্ত্র চালানোও শিখতে হবে। আগুন লাগলে আতঙ্কিত না হয়ে প্রাথমিক যন্ত্র দিয়ে তা মোকাবেলা করা যায়।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক উত্তম বড়ূয়া বলেন, অতি কম সময়ে কোনো ধরনের প্রাণহানি ছাড়াই একটি বহির্গমন পথ দিয়ে ওই দিনের অগ্নিকাণ্ড মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে। গত অক্টোবরে তারা ফায়ার ফাইটিং মহড়া করিয়েছিলেন, যে কারণে সেটা কাজে লেগেছে।

জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, শেরেবাংলা নগর এলাকায় নয়টি বিশেষায়িত হাসপাতাল রয়েছে। অথচ যে কোনো অগ্নি-দুর্ঘটনায় সেবা পাওয়ার জন্য কোনো ফায়ার স্টেশন নেই।