ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা উঠছে আগামীকাল

ই- বার্তা ।।   আগামী ২৮ এবং ২৯ ফেব্রুয়ারি আয়োজিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম মুঠোফোন ভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রতিযোগিতা ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসব’ এর ষষ্ঠ আসর।

আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ আসরকে কেন্দ্র করে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এর ক্যাম্পাস এ তে আয়োজন করা হয় এক সংবাদ সম্মেলনের। সম্মেলনে ‘চলচ্চিত্র উৎসব’ এর ষষ্ঠ আসর সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়। 

উৎসবমুখর এই আয়োজনটি উন্মুক্ত থাকছে সকলের জন্য। ‘স্ক্রিনিং’, ‘কম্পিটিশন’ও ‘ওয়ানমিনিট’এই তিনটি বিভাগে প্রতিযোগীরা অংশনে ওয়ার সুযোগ পান৷ সময়ের সাথে সাথে জাতীয় পর্যায় ভেদ করে আন্তর্জাতিক প্রাঙ্গন ছুঁয়েছে এইঅনুষ্ঠান৷ প্রতিযোগিতার এবারের আসরে বিশ্বের৪১ টি দেশ থেকে সর্বমোট ২০২ টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছে। গত আসরে ৩৪টি দেশ থেকে ছিল ৯৫টি চলচ্চিত্র। এবারই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ রেকর্ডসংখ্যক ৩৪টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছে।

 এবছর ষষ্ঠ আসরে প্রথমবারের মতো সীমান্ত সম্ভারের স্টার সিনেপ্লেক্সেও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও প্রথমবারের মতো ইউল্যাবের স্থায়ী ক্যাম্পাস, ক্যাম্পাস এ, ক্যাম্পাস বি এবং স্টার সিনেপ্লেক্স এ প্যারালাল স্ক্রিনিং চলবে। ২৮ ফেব্রুয়ারি উৎসবের প্রথম দিন ইউল্যাবের স্থায়ী ক্যাম্পাসে উৎসবের উদ্বোধন করা হবে। এসময় উপস্থিত থাকবেন ইউল্যাব এর উপাচার্য অধ্যাপক এইচ এম জহিরুল হক এবংঅধ্যাপক জুড উইলিয়াম হেনিলো। একই দিনে স্ক্রিনিং এর পাশাপাশি থাকছে‘ফুয়াদুজ্জামান ফুয়াদ’ এর ‘দ্যা আর্ট অব স্মার্টফোন সিনেমাটোগ্রাফি’ শীর্ষক বিশেষ কথোপকথন।

উৎসবের দ্বিতীয় দিনের শুরুতে রয়েছে ‘ড. আব্দুল কাবিল খানের’ ‘আর স্মার্টফোনস দ্যা ফিউচার অব ফিল্মমেকিং’ শীর্ষক বিশেষ কথোপকথন এবং স্ক্রিনিং। দ্বিতীয় দিনের সমাপণী পর্ব অনুষ্ঠিত হবে সীমান্ত সম্ভারের স্টার সিনেপ্লেক্সে। এসময় উপস্থিত থাকবেন স্টার সিনেপ্লেক্স এর চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল, চলচ্চিত্র নির্মাতা কামার আহমাদ সাইমন এবং চলচ্চিত্র বোদ্ধা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রফেসর ড.গীতি আরা নাসরীন।

প্রতিবারের মতো আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি উন্মুক্ত থাকছে সকলের জন্য। দুই দিনব্যাপী আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে জমাকৃত চলচ্চিত্রগুলো থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নির্বাচিত চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হবে।অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে নির্বাচিত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্য থেকে সেরা চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্যে থাকবে ‘সিনেমাস্কোপ বেস্ট ফিল্ম’ অ্যাওয়ার্ড এবং ‘ইউল্যাব ইয়ং ফিল্ম মেকার’ অ্যাওয়ার্ড।