ঢাকা ১০ আসন আ’লীগে অনুপ্রবেশকারীদের প্রভাব বিস্তার

ই-বার্তা ।। মোঃ শহিদুল আলম,

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের অন্যান্য এলাকার মত ঢাকা-১০ আসনেও সন্ত্রাসী-লুটেরারা আ’লীগের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করার পাঁয়তারা করছে বলে অনেকের অভিযোগ।

 

আ’লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে বিষয়টিকে নির্বাচন বানচালের সবচাইতে ভয়ংকর ও স্পর্শকাতর ইস্যু হিসেবে চিহ্নিত করেছে সেই বিষয়টিই এখন দেখা দিয়েছে ঢাকা-১০ আসনে।

ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে হাজারীবাগ, ধানমন্ডি, নিউমার্কেট এলাকার এই সব ইস্যুগুলোকে সফলভাবে সামলে এসেছেন।তবে হাজারীবাগের ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম সজীব আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে আ’লীগের দেওয়া নির্দেশনাবলী এবং ঢাকা-১০ আসনের সাংসদ শেখ ফজলে নূর তাপসের নির্দেশ উপেক্ষা করছেন।

তরিকুল ইসলাম সজীব কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকেই সমাজের নেশাগ্রস্থ, চাঁদাবাজ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের একত্রিত করে সরকারী দলের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে দিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠিত করে তুলছে।তাদের মধ্যে বেলাল সরদার, মনোয়ার, মাম্মা লিটন, ডালিম, আলাউদ্দিন আলী, শাইনা , রিপন, বিজু, মিন্টু আরিফ খাজা সহ আরও অনেকে যারা নাসির উদ্দিন পিন্টুর ক্যাডার বাহিনী হিসেবে পরিচিত ছিল।

 

২০০৯ সালের নির্বাচন পরবর্তী সময়ের পর থেকে গা ঢাকা দিয়ে পলাতক অবস্থায় থাকলেও সজীব কাউন্সিলর হওয়ার পর থেকে এসব ক্যাডারদের একত্র করে আওয়ামীলীগের নানা পদ পদবী দিয়ে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করায় মনোযোগী হয়ে উঠেছেন।

এর কারণ হিসেবে স্থানীয় অনেকেই মনে করছেন, তরিকুল ইসলাম সজীব দলের প্রতি আস্থা হারিয়ে ভীত হয়ে বিএনপি সমর্থিত ক্যাডার বাহিনীর সাথে হাত মিলিয়েছেন। এছাড়া নির্বাচনে হারলে বিএনপির রোষানলে পড়তে পারেন আর তা এড়ানোর জন্যেই তিনি এ পথ বেছে নিয়েছেন।

২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম সজীবের বেপরোয়া আচরন,দাম্ভিকতা, আর ভয়ভীতি প্রদর্শনের কারণে দলীয় নেতা কর্মী, স্থানীয় জনগণ তার উপর প্রচন্ড বিরক্ত।

 

 

 

ই-বার্তা / শহিদুল আলম