থানা হবে অসহায়-নিপীড়িত মানুষের আস্থার প্রতীক : আইজিপি

ই- বার্তা ডেস্ক।।   বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী মন্তব্য করেছেন, আমরা থানাকে করতে চাই মানুষের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক। আমরা জানি, অসহায় ও নিপীড়িত মানুষ প্রথমে থানায় আসে। থানা হলো পুলিশের সেবার কেন্দ্রবিন্দু। সুতরাং থানাকে হতে হবে সেবার রোল মডেল। সুতরাং আমরা আশা করি তারা (ওসিরা) হবেন মানুষের সেবা ও নির্ভরতার প্রতীক।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সপ্তাহ ২০২০ উপলক্ষে ২০১৯ সালের প্রশংসনীয় ও ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ৫৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে আইজি’জ ব্যাজ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আইজি’জ ব্যাজপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করলেও মাদক সেবন ও ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীর কোনো সদস্য যদি মাদক সেবন ও ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ততার সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাদককারবারীদের সঙ্গে সখ্য-সম্পৃক্ততা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে শুধু বিভাগীয় ব্যবস্থা নয়, প্রচলিত মামলায় আইনানুগ ব্যবস্থাও নেয়া হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় মাদক, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার পুলিশ হবে জনতার’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে এবারের পুলিশ সপ্তাহ ভিন্ন আঙ্গিকে উদযাপন হচ্ছে উল্লেখ করে জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, আমরা জনতার পুলিশ হওয়ার জন্য, জনগণের পুলিশ হওয়ার জন্য, মানবিক পুলিশ হওয়ার জন্য, স্বপ্নের পুলিশ হওয়ার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ১৯৭৫ সালে রাজারবাগের এই মাঠেই বঙ্গবন্ধু পুলিশকে জনগণের পুলিশ হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। আমরা সত্যিকারার্থে এই মুজিববর্ষে অঙ্গীকার করেছি, ‘পুলিশ হবে জনতার’।

তিনি আরও বলেন, মাদক নীরব ঘাতক। মাদক নির্মূলে নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে, যা মাদক নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। ইনশাআল্লাহ আমরা জয়ী হবো। পুলিশের চলমান স্ট্র্যাটেজিক পরিকল্পনায় আমরা মাদক, জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়েছি। চলমান অভিযানের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাদক ব্যবসায়ী চরমপন্থীরা আত্মসমর্পণ করছে।