প্রতারণার অভিযোগে হজ এজেন্সিতে দুদকের অভিযান

ডেস্ক রির্পোট ।।  দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি অ্যানফোর্সমেন্ট টিম আরেক দফা অভিযান চালিয়েছে হজ এজেন্সিগুলোতে।হজযাত্রী ও হাজীদের প্রতারণা করা এবং হজ পালনে অব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

 

 

সোমবার রাজধানীর বিজয়নগরে কয়েকটি হজ এজেন্সিতে আকস্মিক অভিযান চালায়। এ নিয়ে দুদক হজ এজেন্সির দুর্নীতি প্রতিরোধ তৃতীয় দফা অভিযান চালালো। দুদকে আগত অভিযোগের ভিত্তিতে এর আগে গত ২ জুলাই এবং ৪ জুলাই দুদক টিম এমন অভিযান চালিয়েছিল। কতিপয় অসাধু হজ এজেন্সি, ট্র্রাভেল এজেন্ট এবং জনশক্তিমন্ত্রণালয় ও ধর্মমন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিপরায়ন কর্মকর্তাদের মধ্যে সিন্ডিকেশনের মাধ্যমে হজ যাত্রীদের হয়রানি এবং মানব পাচার এর অভিযোগ রয়েছে। এসব ঘটনা প্রতিরোধের লক্ষ্যে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম এসব অভিযান চালাচ্ছে। দুদক জানায়, সোমবার দুদক টিম বিজয়নগরের আলরাজী কমপ্লেক্সের সপ্তম তলায় অবস্থিত এহসান ট্রাভেলসে প্রথম অভিযান চালায়। এ সময় ওই ট্রাভেলসের মালিক সাইফুল ইসলামসহ উপস্থিত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হজের প্যাকেজ মূল্য, হজ যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা এবং চুক্তির অন্যান্য শর্ত যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে দুদক টিম ওই তথ্য সংগ্রহ করে। এ সময় উপস্থিত হজ যাত্রীরা জানান, দুদকের অভিযান এবং মনিটরিং-এ তাঁরা অত্যন্ত সন্তুষ্ট এবং এর ফলে এজেন্সিরা অতিরিক্ত টাকা দাবি করার সুযোগ পাচ্ছে না। দুদক টিম হজ যাত্রীদের প্যাকেজের নির্ধারিত টাকার বাইরে টাকা না দেয়ার পরামর্শ দেন।

 

এ দিকে দুদক টিমের উপস্থিতি টের পেয়ে একটি হজ এজেন্সির লোকজন অফিস থেকে পালিয়ে যায়। অভিযানকালেই ইস্টওয়েস্ট এয়ার, শরীফ এয়ার সার্ভিস লি. ও আলগাজী ট্র্যাভেলস লি. -এ অনুরূপ অভিযান পরিচালনা করে প্রত্যেকের কাগজপত্র পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে পরীক্ষা করা হয়। দুদকের এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে বৈধ হজ এজেন্সিসমূহ গভীর সন্তোষ প্রকাশ করে এবং আশাবাদ ব্যক্ত করে যে, এ তৎপরতা অব্যাহত থাকলে অবৈধ হজ এজেন্সির অসাধুকার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।এ অভিযান পরিচালনা প্রসঙ্গে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী জানান, জনগণ হজ নিয়ে দুর্নীতি বন্ধে দুদকের হস্তক্ষেপ চায়, এ লক্ষ্যে এ অভিযান চলছে, এবং পর্যায়ক্রমে প্রতিটি হজ এজেন্সির কার্যক্রম মনিটরিং করা হবে।