দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছেঃ মির্জা ফখরুল

ই- বার্তা ডেস্ক।।   দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে  বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন, বিচার বিভাগে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। দেশে কোনো সরকার আছে কিনা এটাই জনগণের কাছে প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।

গতকাল শুক্রবার দলটির স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। এছাড়া বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার চরমভাবে উদাসীন বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। একের পর এক জেলা বন্যাকবলিত হচ্ছে। জনগণের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকারের যে উদ্যোগ প্রয়োজন সেটা আমরা লক্ষ্য করছি না। সরকারের চরম উদাসীনতা বন্যার ব্যাপারে। তারা বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে পারছে না। তিনি বলেন, এ রকম পরিস্থিতিতে সরকারের যে রকম উদ্যোগ-সহায়তা নেয়ার কথা সেটা দেখা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত ত্রাণমন্ত্রী কোথাও ঘুরে আসেননি। সরকারের পদক্ষেপগুলো মানুষ দেখতে চায়।

তিনি বলেন, এখানে বিরোধী দলের তেমন কিছু করার নেই। তারা ত্রাণ কমিটি পাঠাতে পারে, সেখানে কিছু কিছু সাহায্য নিয়ে সাহায্য করতে পারে। কিন্তু সরকারের দায়িত্ব বন্যাকবলিত মানুষকে রক্ষা করা। যেটা সরকার করছে না।

বৈঠকে দলের ২১ সদস্যের একটি ত্রাণ কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এর আহ্বায়ক করা হয়েছে স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও সদস্য সচিব করা হয়েছে ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিনুর রশীদ ইয়াসীনকে। কমিটিতে দলের

তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, জনগণের নিরাপত্তা ও সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ক্রমেই ভেঙে পড়ছে। এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে যেন মনে হচ্ছে দেশে একটা নৈরাজ্য চলছে। আদালতের ভেতরে গিয়ে হত্যা করা হচ্ছে, ছোট্ট শিশুর মাথা কেটে ফেলা হচ্ছে। প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা হচ্ছে এবং এরপর- প্রধান আসামিকে (নয়ন বন্ড) ক্রসফায়ারে হত্যা করা হল। দেখা গেল সেই মামলার যে বাদী তাকে আবার গ্রেফতার করা হল। দেখা যাচ্ছে যে, সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন এবং বিচার বিভাগে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে যদি জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো নীরব থাকে তাহলে দেশ চরম পরিণতির দিকে এগিয়ে যাবে। আমরা মনে করছি, এ বিষয়ে একটা জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি হওয়া প্রয়োজন। এজন্য বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথাবার্তা বলা প্রয়োজন। আমরা চিন্তা করছি এবং বিষয়টি অগ্রাধিকার দিচ্ছি।