দেশে কোনো আইন নেই, ন্যায়বিচার নেইঃ নুর

ই-বার্তা ডেস্ক।।  ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর সাংবাদিকদের বলেছেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমার ওপরে ৮ বার হামলা করেছে। আমাকে গুলি করে হত্যা করার হুমকি দিয়েছে,তারপরে থানায় জিডি করতে গিয়েছি,পুলিশ আমার জিডি নেয়নি।এ দেশে কোনো আইন নেই,কোনো ন্যায়বিচার নেই।  

এক প্রশ্নের জবাবে নুর বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকে, তাদের একটা প্রবণতা থাকে যে বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাঙ্গনকে নিয়ন্ত্রণ করার। তখন তারা ছাত্র সংগঠনের মাধ্যমে এবং দলীয় আনুগত্য যারা খুব ভালোভাবে পালন করতে পারে সেরকম কিছু লোককে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনার জন্য প্রশাসন হিসেবে নিয়োগ দেয়। 

যাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনো ধরনের আন্দোলন তৈরি না হয়। কারণ আন্দোলন তৈরি হলে সেখানে সরকারের বিরুদ্ধে যেতে পারে। এ কারণেই যেখানে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকে, তাদের ছাত্রসংগঠনগুলো হিংস্র বর্বর হয়ে ওঠে ক্যাম্পাসে ভিন্নমত দমনে কিংবা বিরোধী ছাত্র বা বিরোধীমনা শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে তাদের বাঝে না। 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাশাসন সর্বোচ্চ অভিভাবক।কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনা, বিশেষ করে বুয়েটে একজন উপাচার্য যার ছাত্রকে পিটিয়ে মারা হলো। ছাত্রলীগের ছেলেরা পিটিয়ে মেরে ফেললো, কিন্তু তিনি ক্যাম্পাসে আসেননি। তিনি একটা স্টেটমেন্ট দেননি যে, এটা একটা নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। যে হলে মারা হয়েছিল সে হলের সিসিটিভির ফুটেজ পর্যন্ত সরিয়ে ফেলতে চেয়েছিল খুনিদের রক্ষা করা জন্য।এর দ্বারা বোঝা যাচ্ছে যে, বর্তমানের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কি ধরনের লোক দায়িত্ব পালন করছে, যারা ছাত্রলীগের অপরাধকেও মুছে ফেলতে চায়, অপরাধীকে বাঁচিয়ে দিতে চায়।

এখানে যখন ছাত্রসংগঠনগুলো নানা ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয় তখন একটা ঘটনারও সুষ্ঠু বিচার হয় না। যখন একটা অন্যায়কে আপনি চেপে যাবেন তখন পরবর্তি অন্যায় ঘটবেই। একটা হ্ত্যাকাণ্ডেরও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়নি। প্রথম দুই-চারটা ঘটনার যদি জোরালোভাবে তদন্ত করা হত পরবর্তিতে কিন্তু এ ধরনের ঘটনা ঘটত না।

আজ আবরার ঘটনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আবারার বুয়েটে মারা গেছে। আবরার তো একা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মারা যায়নি। ২০১০ সালেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু বক্কর ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে মারা গেছে সেই ঘটনার কারো বিচার হয়নি। সবাইকে নির্দোষ বলে আদালত রায় দিয়েছে যে, কারো দ্বারা সে খুন হয়নি।

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু