দেশে চার মাসে ঘটেছে ২৫০টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা

ই- বার্তা ডেস্ক।।   দেশে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দেশে ২৫০টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ৭৭৬ জন।

এর মধ্যে রয়েছে সংখ্যালগুদের হত্যা, ধর্ষণ, সম্পদ লুট, ধর্মান্তরিত করা এবং বসতবাড়ি ত্যাগ করতে বাধ্য করা।

গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এই বছরের অনেক বেশি। আর এসব সহিংসতার সঙ্গে সরকারি দলের ভেতরে ও বাইরে থাকা প্রভাবশালীরা জড়িত।

সংগঠনের সভাপতি নির্মল রোজারিও এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। এ সময় সংগঠনের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সহিংসতায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে ২৫ মে সকাল ১১টায় সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল করবে। ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। ইতিমধ্যে সংখ্যালগুদের ২৩টি সংগঠন এর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে।

এ সময় রানা দাশগুপ্ত বলেন, ২০১৮ সালের তথ্যের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে আমরা বলেছিলাম, দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা কমেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এটি আবার বেড়েছে। ২০১৮ সালের পুরো বছরে দেশে ৮০৬টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে ২৫০টি সহিংসতার তথ্য পাওয়া গেছে। এরমধ্যে জানুয়ারিতে ৬৪টি, ফেব্রুয়ারিতে ৫২, মার্চে ৬৫ এবং এপ্রিলে ৬৯টি সহিংসতা হয়েছে। এসব ঘটনায় ৭৭৬ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ঘটনাগুলোর মধ্যে ২৩টি হত্যাকাণ্ড, ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার, হত্যার চেষ্টা ১০টি, হত্যার হুমকি ১৭, শারীরিকভাবে আক্রান্ত ১৮৮, গণধর্ষণ ৫, ধর্ষণ ৭, ধর্ষণের চেষ্টা ১, যৌন হয়রানি ১০, ধর্ষণ ও উত্ত্যক্তের শিকার হয়ে আত্মহত্যা ৩, নিখোঁজ ৩, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও বাড়িঘরে লুটপাট ৩১, চাঁদা দাবি ৭, বাড়ি ও জমি থেকে উচ্ছেদ ১৬২, জবরদখল ৩৮, দেশ ত্যাগের হুমকি পেয়েছেন ১৭ জন, আক্রান্ত মঠ-মন্দির ২৯, ধর্মস্থানের সম্পদ লুট ৯, চুরি ৬, জবরদখলকৃত ধর্মস্থান ৬, ধর্মস্থান জবরদখলের অপ্রয়াস ১০টি এবং ভাংচুরের ৪৩টি ঘটনা ঘটেছে।

ই- বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম