দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ গ্রহণ করলেন মোদি

ই- বার্তা ডেস্ক।।   টানা দ্বিতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি ।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় দিল্লির রাইসিনা হিলসে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাকে শপথবাক্য পাঠ করান।

দেশ-বিদেশের ছয় হাজার অতিথি উপস্থিত ছিলেন এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে । মোদির শপথের পরপরই তার মন্ত্রিসভার সদস্যরাও শপথ নেন। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, নিতিন গড়কড়ি ও স্মৃতি ইরানি পূর্ণ মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। শপথ অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের নৈশভোজে আপ্যায়ন করা হয়। সাত দফায় অনুষ্ঠিত সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের ফল ২৩ মে প্রকাশের ঠিক এক সপ্তাহ পর দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নিলেন মোদি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা, পিটিআই, হিন্দুস্থান টাইমস ও এনডিটিভির।

 রাষ্ট্রপতি ভবনে ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেজমকালোভাবে আয়োজন করা হয়। ২০১৪ সালের আগে প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠান হতো দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হলে। কিন্তু মোদির প্রথমবার শপথের সময় সেই রীতি ভেঙে রাষ্ট্রপতি ভবনের বাইরের লনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এবারও সেখানেই শপথ অনুষ্ঠান হয়। শপথ নেয়ার পরপর নরেন্দ্র মোদি টুইট করেন। তিনি লেখেন, অনারড টু সার্ভ ইন্ডিয়া।

সন্ধ্যা ৭টায় দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়। সভাস্থলে একেএকে আসেন দেশি-বিদেশি অতিথি-অভ্যাগতরা। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটানের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ভারতের সাবেক সব রাষ্ট্রপতি, সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যোগ দেননি), কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার মন্ত্রী ও তাদের পরিবারের ১০ জন করে সদস্য, নবনির্বাচিত সব সংসদ সদস্য আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। রাজনৈতিক দলের নেতা, ব্যবসায়ী নেতা, কূটনীতিক, রাষ্ট্রদূত, যশস্বী ব্যক্তি ও লোকসভার বিরোধী দলের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও তার মা সোনিয়া গান্ধী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং উপস্থিত ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে উপস্থিত ছিলেন ৫২ ‘শহীদ’ পরিবারের ৭০ সদস্য।

অনুষ্ঠানস্থল ও সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে দিল্লি পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনীর ১০ হাজার নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করা হয়। শপথ ঘিরে দিল্লির নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে বিকাল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণ কড়াকড়িভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত প্রায় দেড় মাস ধরে সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২৩ মে একযোগে ফল ঘোষণা করা হয়। এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট ৩৫২টি আসন। সরকার গঠনের জন্য ৫৪২ আসনের মধ্যে ২৭২টি আসন পেলেই যথেষ্ট ছিল বিজেপির। সেখানে বিজেপি এককভাবে ৩০৩টি আসন পেয়েছে।

ই- বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম