ধান কেনার ক্ষেত্রে দরিদ্র কৃষকদের বেছে নেয়া হবে : কৃষিমন্ত্রী

ই- বার্তা ডেস্ক।।   কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে চলতি বছরের আমন মৌসুমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সরকার ৬ লাখ টন ধান কিনবে ।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ধান কেনার ক্ষেত্রে আমরা দরিদ্র কৃষকদের বেছে নেব। তাদের মধ্যে লটারি হবে। ফলে রাজনৈতিক চাপ থাকবে না। সরকারের চাল কেনার ঘোষণায় হয়তো ধানের দাম ১০০-২০০ টাকা বেড়েছে। এটা কৃষকের জন্য সুখবর। দাম বাড়া বা কমা নিয়ে মন্ত্রণালয় সব সময় উভয় সংকটে থাকে। কারণ দাম কমলেও সমালোচনার শিকার হতে হয়। আবার বাড়লেও সে দায় আমাদের ওপর চাপে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) তিন দিনব্যাপী সপ্তম বাপা ফুডপ্রো ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সংরক্ষণের জায়গা সংকটের অভাবে গত বছর ইচ্ছা থাকার পরও কৃষকদের কাছ থেকে বেশি ধান কেনা সম্ভব হয়নি। তবে এবার ৬ লাখ টন ধান আমরা সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটা সময় ব্যাপক খাদ্য ঘাটতি ছিল। নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে খাদ্য আমদানি করতে হতো। কিন্তু বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দুর্যোগপ্রবণ দেশ হলেও বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে ব্যাপক উন্নতি করেছে। প্রধান খাদ্য চালের পাশাপাশি অন্যান্য খাদ্য উৎপাদনেও এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে আমাদের সমস্যা হলো উৎপাদন হলেও বিক্রি করতে না পারা। আজও উদ্বৃত্ত ধান নিয়ে বিপাকে পড়ছে কৃষক।

মন্ত্রী বলেন, পর্যাপ্ত চাল মজুত থাকার পরও কয়েক দিন ধরে চালের দাম বেড়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর আসছে। গত এক সপ্তাহে মানসম্মত চালের দাম কেজিপ্রতি চার-পাঁচ টাকা করে বেড়েছে। খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে সরকার নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় চাষের জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে, যা আমাদের জন্য বিরাট এক চ্যালেঞ্জ। এছাড়া অন্য আরেকটি চ্যালেঞ্জের নাম প্রাকৃতিক দুর্যোগ।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য খাত কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে।