নতুন কোন সিনেমার চুক্তি যেসব অভিনেতা-অভিনেত্রীর হাতে

ই-বার্তা ডেস্ক ।। হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মাসে বড়জোর চার থেকে পাঁচটি সিনেমা মুক্তি পায়। ছবি নির্মাণের সংখ্যা শুন্যতে নেমে এসেছে। এফডিসি টেলিভিশন অনুষ্ঠান আর বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে ব্যস্ত। সিনিয়র চিত্র নির্মাতারা এক কথায় বেকার।

কারো হাতে কোনো সিনেমা নেই। অনেকে সিনেমা শুরু করেও শেষ করতে পারছে না। অনেকের সিনেমার ঘোষনা হয়েও দিন কেটে যায় ক্যামেরা ওপেন হয়না। পাঁচ বছর আগেও যেখানে  বছরে ৭০-৮০টি করে ছবি মুক্তি পেত, এখন সেখানে মাত্র ৪০-৪৫টিতে ঠেকেছে। বছরে হিট তকমা পাওয়া ছবির সংখ্যাও হাতে গোনা-তিন-চারটি। এর মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস।

রঙে রঙে সাজানো হয়েছে এফডিসি। নাচ, গান, বক্তৃতা, দলাদলি, অভিযোগ, বিভক্ত হয়ে পালন, তারকাদের উপস্থিতি সবই হয়েছে। অনেকের আবার উপস্থিতিও ছিল না। যেমন এ সময়কার সবচেয়ে ব্যস্ত নায়ক শাকিব খান। তিনি লন্ডনে শুটিংয়ে ব্যস্ত।

এমন সময়ে অনেক তারকাকেই এফডিসিতে উপস্থিত দেখা যায়। তাদের অনেকেই এফডিসিতে নায়ক- নায়িকা পরিচয়ে ঢোকেন। পরিচালক- প্রযোজকের খাতায়ও নাম থাকে অনেকের। তাদের আসলে এই সময়ের দায়িত্বটা কী? এফডিসি পাহাড়া দেওয়া নাকি একটি সিনেমা নির্মাণের প্ল্যানিং করা?

সিনিয়র অভিনয়শিল্পীরা তো অভিনয় করবেন না রাগ করে। তাদের কথা আলাদা। কিন্তু এ সময়ে যারা আলোচনায় আছেন। নিয়মিত ছবি করছেন। তাদের বাস্তব অবস্থা চলচ্চিত্রের দু:সংবাদই বলা যায়। গত ছয় মাসে নতুন কোনো ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হননি কিংবা একটা বা দুটো ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এমন তারকার লাইন বেশ লম্বা। দেশের প্রথম সারির নায়ক- নায়িকা- পরিচালকদের ক্ষেত্রেও এ কথা বলা যায়। বাপ্পী একটা সময়ে বছরে ছয় থেকে আটটি সিনেমায় অভিনয় করতেন। কিন্তু এখনকার সময়ে তিনি যেসব সিনেমার শুটিং করছেন তা অনেক আগের চুক্তি হওয়া। গেল ছয়মাসে যা দু- একটা সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তার ক্যামেরা ওপেন হয়নি।

সাইমনেরও একই অবস্থা। এ তালিকায় আরও আছেন আরিফিন শুভ- কলকাতার দুটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। একটি সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছে। আরেকটির শুটিং শুরু হতে দেরী হবে। বাংলাদেশে তাঁর হাতে ছবি নেই। জয়া আহসান কলকাতার সিনেমায় ব্যস্ত। বাংলাদেশের সিনেমার শুটিং বলতে সেই বছরখানেক আগে চুক্তি হওয়া ছবির। নুসরাত ফারিয়া- আপাতত সিনেমা থেকে দূরে আছেন। গানের ভিডিও প্রকাশ পাবে।

মাহিয়া মাহি- সেই এক বছর আগের সিনেমার শুটিং শেষ করছেন। অপু বিশ্বাস- কিছু সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হলেও শুটিং কবে শুরু হবে ঠিক নেই। পরীমণি- নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত। সেখানকার একটি ছবির শুটিং শীঘ্রই শুরু করবেন শোনা যাচ্ছে। জায়েদ খান- ‘অন্তর জ্বালা’র পরে নতুন কোন ছবি মুক্তি পাবে না শীঘ্রই। ছয় মাসেরও বেশি আগে ‘জান রে’ নামের একটি ছবিতে অতিথি চরিত্রে চুক্তিবদ্ধ হন। কিছুদিন আগে পরীর প্রযোজনার ‘ক্ষত’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হলেন।

নিপুন, মিষ্টি জান্নাত, অমৃতারা ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত। শাবনুর, পূর্ণিমা তো নেই সেই কবে থেকে। পপি আসি আসি করেও আসে না। মৌসুমী-ওমর সানি, রিয়াজ, আমিন খান, বাপ্পা রাজ, সম্রাটের হাতেও নেই নতুন ছবি।

আইরিন, সাইফ খান, শাহরিয়াজ, জলি, জয় চৌধুরী, রোমানা নীড়, সানজু জন,বিপাশা কবির, আসিফ নূর, শিপন মিত্র, শিরিন শিলা কিংবা টেলিভিশন থেকে আসা মম, কুসুম শিকদার, সোহানা সাবা, অপর্ণা, পিয়া বিপাশা, জান্নাতুল পিয়াদের হাতেও নেই নতুন কোন ছবি। ইমন, নীরবরা আগে চুক্তিবদ্ধ হওয়া ছবিগুলোর শুটিং নিয়েই এখন সময় ব্যয় করছেন। শুধু শিল্পীরা কেন? ইন্ডাস্ট্রির বড় বড় পরিচালকের হাতেও কিন্তু নতুন ছবি নেই। অনেকেই ঘোষণা দিয়েছেন নতুন ছবির, কিন্তু ক্যামেরা ওপেন হয়নি।

সবারই এক কথা, বেশ কয়েকটি ছবির বিষয়ে আলোচনা চললেও ফলপ্রসূ হয়নি। তাই এই অবস্থা। সবাই বেছে বেছে সিনেমা করতে ব্যস্ত।

 

সূত্র/বাংলা ইনসাইডার