নতুন রুপে ‘প্রতিবেশিনী’ প্রভা

পরনে শুভ্র শাড়ি। মাথার কেশ আলগা করে ছেড়ে দেয়া। হাতের ওপরে থুঁতনি রেখে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা। তার চোখ দুটো কেমন যেন ছলছল করছে। দৃষ্টিতে গভীর অনিশ্চয়তা আর অপ্রাপ্তির হাহাকার। দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি হয়েছে ‘প্রতিবেশিনী’ নাটকের শুটিং সেট থেকে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূলগল্প অবলম্বনে নাটকটির চিত্রনাট্য রচনার পাশাপাশি পরিচালনাও করেছেন নির্মাতা শ্রাবণী ফেরদৌস। আর এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন সাদিয়া জাহান প্রভা ও ইরফান সাজ্জাদ।

নির্মাতা শ্রাবণী ফেরদৌসের বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ কিংবা নজরুলের যে কোনো কাজ নিয়েই সবার আলাদা একটা আগ্রহ রয়েছে। তবে রবীন্দ্রনাথের যে ভাষাশৈলী তার ওপর দখল কিন্তু সব অভিনয়শিল্পীর থাকে না। রবীন্দ্রনাথের গল্পে কথা বলার ধরনসহ সবকিছু ভিন্ন থাকে। এজন্য কোনো শিল্পী যখন কাজের সুযোগ পায় তখন সে তার পুরোটাই দেয়ার চেষ্টা করে। আবার ভয়েও থাকে। ইরফানের প্রথমদিন একটু সমস্যা হয়েছিল কিন্তু পরের দিন ঠিক হয়ে গেছে।

 

রবীন্দ্রনাথের কাজ কম করার কারণে ইরফানের এমনটা হয়েছিল। এ সময়ের শিল্পীরা তো এ সময়ের স্টাইলে কথা বলবে এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের ভাষাগত প্রয়োগ বলার টিউন তো ভিন্ন। এই রাবীন্দ্রিক টিউনটা ধরতে আসলে সময় লাগে। আর প্রভা তো খুব ভালো অভিনেত্রী এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তা ছাড়া এর আগে প্রভা রবীন্দ্রনাথ-নজরুলের গল্পে কাজ করেছে। সর্বশেষ দুজনের কম্বিনেশনটা ভালো ছিল। দুজনেই খুব ভালো করেছে। কাজটি ভালো হয়েছে।’

 

 

‘প্রতিবেশিনী’ নাটকের গল্পের প্রেক্ষাপট অনেক আগের। তাই সময়ের সঙ্গে মিল রেখে চরিত্রের কস্টিউম ও নাটকের সেট তৈরি প্রয়োজন। এ প্রসঙ্গে শ্রাবণী ফেরদৌস বলেন, ‘এ নাটকটি নির্মাণ করতে গিয়ে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতার মধ্যে পড়তে হয়েছে। তার কারণ গল্পটা আগের সময়কার। তখনকার মতো কস্টিউম, আর সেট পাওয়াটা এখন দুষ্কর। তবু চেষ্টা করেছি ভালো করার। তবে আরো ভালো হতে পারত, যদি বাজেট বেশি হতো।’

নানা সমস্যা থাকা সত্ত্বেও আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক ভালো কাজ হচ্ছে। সঠিকভাবে আরো পৃষ্ঠপোষকতা পেলে নির্মাতা-প্রযোজকরা ভালো কাজে উৎসাহিত হবেন। দর্শকরাও ভালো ভালো কাজ দেখতে পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শ্রাবণী।

 

 

 

সম্প্রতি নগরীর শ্যামবাজার এলাকায় নাটকটির শুটিং হয়েছে। এতে আরো অভিনয় করেছেন রামিজ রাজু, টুনটুনি চৌধুরী, শপথ প্রমুখ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে নির্মিত এ নাটকটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভিতে প্রচারিত হবে।