নদী দখলকারীরা নির্বাচনে অংশ নিলে প্রার্থীতা বাতিল

ই-বার্তা ডেস্ক।।  বাংলাদেশে নদী দখলকারি কোন ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেনা।  এমন কি কোন ব্যক্তি তথ্য গোপন রেখে নির্বাচনে অংশ নিলে তার প্রার্থীতা বাতিল হবে।  এ ব্যাপারে সরকার গ্রেজেট প্রকাশ করেছেন।   

প্রসঙ্গত কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহি বাঁকখালী নদী দখলের যে তালিকা রয়েছে সেখানেও অন্যান্যদের সাথে এন্ডারসন রোড সংলগ্ন বাসিন্দা আবদুল খালেকের নাম রয়েছে।
গত ৪ আগষ্ট কক্সবাজারে আসেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার। তিনি কক্সবাজারের বাঁকখালী নদী পরিদর্শন করেন। এই সময় তিনি নদী দখলের দৃশ্য দেখে অবাক হয়ে যান এবং ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

পরে তিনি কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহীদ এটিএম জাফর আলম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত নদী রক্ষা বিষয়ক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, নদী জনগনের সম্পত্তি। নদী কেউ দখল করতে পারবেনা। রেহায় পাবেননা নদী দখলকারিরা। উন্নয়নের নামে ধ্বংস করা যাবেনা পরিবেশ। 

তিনি আইনের ব্যাখা দিয়ে বলেন, নদী দখল করে কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেননা। প্রমাণ পেলে তার প্রার্থীতা বাতিল করা হবে, সেই সাথে আনা হবে আইনের আওতায়। ছোট মিয়া বড় মিয়া সবাইকে নদী ছেড়ে দিতে হবে। এমন কি আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকেও নদীর জমি দেয়া যাবেনা। আর নদীর জমি কোন ব্যক্তিকে দেয়ার ক্ষমতাও কোন কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়নি।

কক্সবাজার জেলা নদী রক্ষা কমিটি আয়োজিত এ সভায় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ নিম্নাঞ্চল হওয়ায় বিশ্বের জল ব্যবস্থাপনার সাথে মিতালী রয়েছে। বিশ্বর বিভিন্ন উঁচু অঞ্চলের জল বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরে মিশে যাচ্ছে। এসব জল বিভিন্ন নদী হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হওয়ায় এখানকার জমির উর্বরতা বেশি। যার কারনে বিশ্বে সবচেয়ে উর্বর ভুমির দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। তাই আমাদের দেশের স্বার্থে, সমাজের স্বার্থে, পরিবারের স্বার্থে, সর্বোপরি নিজের স্বার্থে নদী রক্ষা করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। 

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু