নরেন্দ্র মোদির জয়ের পর যে কৌশলে এগোতে চান মুসলমানরা

ই- বার্তা ডেস্ক।।   ভারতের পার্লামেন্ট নির্বাচনে হিন্দুত্ববাদী বিজেপির ভূমিধস জয়ে দেশটির মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক আরও বেড়েছে।

ভারতে বিজেপির এমন জয়ে দেশটির অধিকাংশ মুসলমান ভবিষ্যতের ব্যাপারে শঙ্কিত বলেও বিভিন্ন নিরীক্ষায় জানা গেছে। বিশেষত নির্বাচনের পরপরই কয়েকটি মুসলিম নির্যাতনের ঘটনায় শঙ্কা আরও বেড়ে গেছে। এভাবে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিজয় নিয়ে দেশটির মুসলিম সমাজ কী ভাবছে? এ নিয়ে জার্মান বার্তা সংস্থা ডয়চে ভেলে বিভিন্নজনের মতামত জানার চেষ্টা করেছে।

এই বিষয়ে ভারতের বিখ্যাত আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক আদিল আলভি বলেন, ইতিমধ্যে মুসলমানদের প্রতি বৈরী আচরণের প্রমাণ দেখা গেছে৷ সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে এক মুসলমান ব্যক্তিকে টুপি খুলে ফেলতে এবং হিন্দুদের মতো ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করার ঘটনাকে উদাহরণ হিসেবে দেখান তিনি।

একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রওনক শাহী বিজেপি আবারও ক্ষমতায় আসায় উদ্বিগ্ন৷ তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, গতবারের চেয়ে এবার মুসলমানরা বেশি অরক্ষিত হয়ে পড়বে৷ কী হবে তা বোঝা যাচ্ছে না৷ তবে আমি নিশ্চিত পরিস্থিতি আরও খারাপই হবে৷’

পরিস্থিতি অনুকূলে রাখতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে মুসলমানদের শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তরুণ এই শিক্ষার্থী। নির্বাচন-পরবর্তী সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে মুসলমানদের উদ্দেশে চিঠি লিখেছে ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড’। মুসলমানদের পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে এ আশঙ্কা করছেন বোর্ডকর্তারা।

ভারতীয় মুসলমানদের সর্ববৃহৎ সামাজিক সংগঠন জমিয়তে উলামা হিন্দের জেনারেল সেক্রেটারি মাওলানা সাইয়্যিদ মাহমুদ মাদানী ধর্মীয় উগ্রতার বিষয়ে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানিয়ে মোদিকে বলেন, আমরা আশা করছি আপনি ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখবেন। যাতে মুসলমানরা ভারতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও ধর্মীয় উগ্রতার কারণে মুসলমানরা ভীতসন্ত্রস্ত না হয়।

ই- বার্তা / রেজওয়ানুল ইসলাম