নিউইয়র্ক পুলিশের ‘ক্যাপ্টেন’ হচ্ছেন বাংলাদেশি কারাম চৌধুরী

ই-বার্তা ডেস্ক।।  বিশ্বের সেরা পুলিশ বাহিনীর অন্যতম নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের (এনওয়াইপিডি) নির্বাহী কর্মকর্তা ‘ক্যাপ্টেন’ হচ্ছেন বৃহত্তর সিলেটের সন্তান কারাম চৌধুরী (৩৯)।  আগামী বুধবার নিউইয়র্ক পুলিশের সদর দপ্তর ‘ওয়ান পুলিশ প্লাজা’য় এক অনুষ্ঠানে তাকে ক্যাপ্টেন পদে অধিষ্ঠিত করা হবে।   

নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগের নির্বাহী কর্মকর্তার এই পদে এ পর্যন্ত কারাম চৌধুরীসহ তিনজন বাংলাদেশি আমেরিকান পদোন্নতি পেলেন। ফলে নিউইয়র্ক পুলিশ প্রধান অর্থাৎ পুলিশ কমিশনার হিসাবে কোনো বাংলাদেশির দায়িত্ব পালনের পথ আরো প্রশস্ত হলো। এর আগে কারাম চৌধুরীর খালাতো ভাই সিলেটের আরেক সন্তান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এবং পারোল আহমেদ ক্যাপ্টেন হিসাবে পদোন্নতি লাভ করেন। বাংলাদেশি আমেরিকান মিলাদ খান ক্যাপ্টেন হিসাবে পদোন্নতির অপেক্ষায় রয়েছেন। নিউইয়র্ক পুলিশে বাংলাদেশি অফিসারদের একের পর এক সাফল্যে দারুণ খুশী বাংলাদেশি কমিউনিটিও।

কারাম চৌধুরী বৃহত্তর সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার তিলাগাঁও গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন চৌধুরীর একমাত্র পুত্র কারাম চৌধুরী ১৯৯৩ সালে মাত্র ১১ বছর বয়সে যুক্তরাষ্ট্রে যান। লেখাপড়া ও বেড়ে ওঠা নিউইয়র্কেই। পড়ালেখা শেষ করে নিউইয়র্কের ফাইন্যান্সিয়াল ডিস্ট্রিক্ট-এ চাকরি করেছেন। কিন্তু ইচ্ছা ছিল চ্যালেঞ্জিং কোনো পেশায় আসার। আর তাই ২০০৫ সালে যোগ দিলেন নিউইয়র্ক পুলিশের অফিসার পদে। ধাপে ধাপে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে অফিসার থেকে সার্জেন্ট ও লেফটেন্যান্ট এবং সর্বশেষ পেলেন নির্বাহী কর্মকর্তার পদ। 

কারাম চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘পুলিশের চাকরিতে সেবা করার সুযোগ বেশী। সেই সেবার মানসিকতা নিয়েই পুলিশের চাকরি বেছে নেই। আমি খুব খুশি। এই পদোন্নতিতে এখন আরো সেবা করার সুযোগ বাড়লো। তিনি জানান, আমি বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য কাজ করতে চাই। কারণ বাংলাদেশই আমার শেকড়।’ 

৭ বছর বয়সে বাবাকে হারানো কারাম চৌধুরী পদোন্নতির এই মুহূর্তে বাবাকে ভীষণ মনে পড়ছে জানিয়ে বলেন, আজ বাবা থাকলে খুব খুশি হতেন, যেমনটি আমার মা খুশি হয়েছেন। স্ত্রী বেগম চৌধুরীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ক্যাপ্টেন পরীক্ষার আগে একটানা আট মাস আমাকে পড়াশোনা করতে হয়েছে। এই সময়টাতে একমাত্র ছেলেকে সামলানোসহ সংসারের সব দেখভাল করেছেন স্ত্রী।

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু