নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে আবরারের পরিবার

ই- বার্তা ডেস্ক।।   বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হ’ত্যা’কা’ণ্ডের পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নি’হ’তের বাবা-মা, একমাত্র ভাইসহ স্বজনরা।

গতকাল শুক্রবার রাতে বড় ছেলেকে হারিয়ে শো’কে পাথর হয়ে যাওয়া আবরা রের মা রোকেয়া বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আবরার নি’হত হওয়ার পর থেকেই আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছি। এক ছেলেকে হারিয়েছি, আরেক ছেলেকে হা’রাতে চাই না। আমি আমার ছোট ছেলের নিরাপত্তা চাই।’

ছাত্রলীগের নৃশং’সতার শি’কার হয়ে গত ৬ অক্টোবর দিবাগত মধ্যরা’তে বুয়েটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ (২১) নি’হ’ত হন। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে আ’সামি করে চকবাজার থানায় একটি হ’ত্যা’ মা’ম’লা করেন।

মামলায় এ পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রে’প্তা’র করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এদিকে আবরার নি’হ’ত হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বেশি আ’ত’ঙ্কের মধ্যে রয়েছেন তার ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ। ভয়ে এবং আতঙ্কে তিনি গণমাধ্যমের সাথে আর কোন কথা বলতে চাচ্ছেন না।

আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ বলেন, ছোট ছেলে ঢাকা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। এখন সে ঢাকায় পড়তে যেতে ভ’য় পাচ্ছে। সে ঢাকায় আর পড়তে যেতে চাচ্ছে না।

এদিকে আন্দো’লনরত শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বুয়েট ক্যাম্পাসে স্থায়ীভাবে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ও হ’ত্যা’র সাথে জড়িত ১৯ আ’সা’মিকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বুয়েট ক্যাম্পাসে ভিসির সাথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বৈঠকে গৃ’হীত সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে শুক্রবার রাতে আবরার ফাহাদের বাবা বরকতুল্লাহ বলেন, ‘আমার ছেলে হ’ত্যা’য় জড়িতদের যেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।’

তিনি দাবি জানান, আবরার হ’ত্যা’ মা’ম’লা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিয়ে দ্রুত শেষ করতে হবে এবং খু’নি’দের দৃ’ষ্টান্ত’মুলক শাস্তি ‘নিশ্চিত করতে হবে।

নিজের পুরো পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় মধ্যে রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ক্ষতিপূরণ দেয়ারও দাবি জানান।