নিরাপত্তা বাহিনীর অবহেলায় মৃত্যু হয়েছে মুরসির

ই-বার্তা ডেস্ক।।  মিসরের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে চিকিৎসা দিতে অবহেলার মাধ্যমে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে তার স্বজনরা। 

ব্রিটিশ গণমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবদনে বলা হয়েছে তার স্বজন ও বন্ধুরা দাবি করেছেন, সোমবার কায়রোর আদালতে শুনানির ফাঁকে তিনি ধপ করে মাটিতে পড়ে গেলে পুলিশ যথেষ্ট দ্রুততার সঙ্গে তার প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারেনি।  

তবে মিসরীয় অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা জানায়, তাকে জলদি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে সেখানে তিনি মারা গেছেন বলে জানানো হয়।

অভিযোগে বলা হয়, পড়ে যাওয়ার পর কারাকক্ষের খাঁচার চত্বরে ২০ মিনিটেরও বেশি সময় ৬৭ বছর বয়সী এই মুসলিম ব্রাদারহুড নেতাকে অবহেলায় ফেলে রেখেছিল কারাপ্রহরীরা। যদিও এসময় বিবাদীরা সাহায্য চেয়েছিলেন।

ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও লিভার রোগে ভুগছিলেন মুরসি। বিদেশি শক্তি ও জঙ্গি গোষ্ঠীকে সহায়তার অভিযোগের পুনর্বিচারের শুনানিতে কথা বলার পর তিনি আকস্মিক মাটিতে পড়ে যান।

ধারনা করা হচ্ছে, তিনি হৃদরোগে মারা গেছেন। দেশটির সাবেক এই ইসলামপন্থী প্রেসিডেন্টের মৃত্যু ও আটকাবস্থা নিয়ে একটি স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো।

সোমবারে মুরসির পাশাপাশি আবদুল্লাহ আল হাদ্দাদের বাবা ও ভাইয়েরও বিচার চলছিল। তিনি বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে জানান-মুরসি পড়ে গেলে সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে যায়নি।

‘প্রহরীরা তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি মাটিতেই পড়ে ছিলেন। আধঘণ্টা পর একটা অ্যাম্বুলেন্স আসে। অন্যান্য বন্দিরা তাকে পড়ে যাওয়া অবস্থায় দেখলে চিৎকার করতে থাকেন।’

হাদ্দাদ বলেন, ‘তিনি পড়ে যাওয়ার পরে যে অবজ্ঞা করা হয়েছে, তা ছিল ইচ্ছাকৃত। আটক ব্যক্তিরা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে কারাপ্রহরীরা প্রথমে যে কাজটি করেছে, পরিবার সদস্যদের কারাকক্ষের বাইরে নিয়ে গেছে।’

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু