নির্বাচনই সরকার বিদায়ের একমাত্র পথ : তথ্যমন্ত্রী

ই- বার্তা ডেস্ক।।  নির্বাচনই বর্তমান সরকার বিদায়ের একমাত্র পথ মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনে জনগণ বর্তমান সরকারকে সমর্থন না জানালে, স্বাভাবিকভাবেই আমরা সরকারে থাকব না।

গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক বছরের অর্জন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বিএনপি নেত্রী সেলিমা রহমানের ‘হঠাৎ করেই সরকারের পতন হবে’, এ মন্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকারের পতন হবে- সেলিমা রহমানের এই কথা তো আমরা ১১ বছর ধরেই শুনে আসছি। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকেই সরকারের পতনের কথা শুনে আসছি। সরকার পরিবর্তনের একটিই পথ, সেটি হচ্ছে নির্বাচনের মাধ্যমে। নির্বাচনে জনগণ বর্তমান সরকারকে সমর্থন না জানালে, স্বাভাবিকভাবেই আমরা সরকারে থাকব না। এছাড়া অন্য পথ তো নেই।’

‘অবশ্য তারা (বিএনপি) নানা পথে বিশ্বাস করে, কারণ তারা রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সেলিমা রহমানের এই বক্তব্য সেই ষড়যন্ত্রেরই ইঙ্গিত ছাড়া অন্য কিছু না। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে অতীতের মতো আর ষড়যন্ত্রের রাজনীতি সফল হবে না এবং সরকারকে বিদায় দেয়ার একটিই পথ- সেটি হচ্ছে নির্বাচন।’

নতুন বছরে বিরোধী দলকে ‘স্পেস’ দেয়া প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা বহুদলীয় গণতান্ত্রিক সমাজেই বসবাস করি। এখানে বিরোধী দল সবসময় তাদের মত প্রকাশ, প্রতিবাদ করার আইনগতভাবে, সাংবিধানিকভাবে যে অধিকার, সেই অধিকার সবসময় প্রয়োগ করছে। এখানে কাউকে অধিকার দেয়ার বিষয় নেই। মাল্টিপার্টি ডেমোক্রেসিতে আমরা বিশ্বাস করি এবং সেই অনুযায়ী দেশ পরিচালিত হচ্ছে। সুতরাং এখানে বিরোধী দল সবসময়ই সংসদে, সংসদের বাইরে সবসময় তাদের মত প্রকাশ করছে। সুতরাং অধিকার দেয়া না দেয়ার প্রশ্ন অবান্তর।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বক্তব্যে আওয়ামী লীগের নতুন মেয়র প্রার্থীকে সমর্থন দেয়ার বিষয়ে কিছু বলেননি- এ মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দক্ষিণের মেয়রের বক্তব্য আমি শুনেছি। দক্ষিণের মেয়র যেটি বলেছেন, মন্ত্রীর মর্যাদায় তিনি মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন। মন্ত্রীর মর্যাদা থাকলে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ আছে। সেই বিধিনিষেধের কথাই তিনি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।’

অনলাইন নিউজ পোর্টালের নিবন্ধন দেয়ার বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনলাইন গণমাধ্যমে নিবন্ধন দেয়ার জন্য আমরা ইতোমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে আমরা সব রিপোর্ট এখনো পাইনি। পেলে খুব সহসাই কিছু অনলাইন নিবন্ধন পেয়ে যাবে।’

এ সময় নতুন তথ্যসচিব কামরুন নাহার ও প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।