নিহত-আহতের তালিকায় না থাকা নিখোঁজ বাংলাদেশিকে খুঁজছেন স্বজনরা

ই-বার্তা।।  নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে হামলায় ৫ জন নিহত ও ৫ জন আহতসহ মোট ১০ বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া গেলেও খোঁজ মেলেনি আরেকজন বাংলাদেশির।

ক্রাইস্টচার্চের বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যদের কয়েকজন জানিয়েছেন, শুক্রবারের ওই সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে তাদের একজন বন্ধু নিখোঁজ রয়েছেন। তারা নিশ্চিত হতে চান, হামলায় তিনি নিহত হয়েছেন কিনা।

এ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত হতাহতের কোনো তালিকায়ই ওই বাংলাদেশির নাম পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মাইহন নূর নামের এক স্বজন।

নূর সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, তারা তাদের নিখোঁজ বন্ধুর ছবিসহ পরিচয় সংক্রান্ত সব তথ্য নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষকে সরবরাহ করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদেরকে কিছুই জানানো হয়নি।

‘আমরা এখনো আমাদের একজন বন্ধুকে খুঁজছি। সে এখনো নিখোঁজ। ওদের (নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ) কোনো তালিকায়ই তার নাম নেই। গত রাতে আমরা যখন হাসপাতালে ছিলাম, সরকার জানালো আজ সকালের মধ্যে আমাদের চূড়ান্ত তালিকাটা দেয়া হবে। কিন্তু আমরা এখনো তাদের কাছ থেকে কোনো সাহায্য পাইনি এ ব্যাপারে। তাদের কাছে আমার বন্ধুর নাম নেই। তাহলে আমার বন্ধু কোথায় গেল? কোথায় গেল আমার ভাই? আমরা শুধু এটুকু জানতে চাই…’ বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন মাইহন নূর।

নিখোঁজ ওই ব্যক্তির বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত হওয়ার অপেক্ষায় এখন তার বন্ধু ও আত্মীয়রা অস্থির সময় কাটাচ্ছেন। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার খাতিরে নিখৌঁজ থাকা ওই বাংলাদেশির নামও প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।

স্বঘোষিত শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী ২৮ বছর বয়সী ট্যারান্ট শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের আল নূর এবং লিনউড মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর অতর্কিতে বন্দুক হামলা চালান। হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০-এ দাঁড়িয়েছে বলে স্থানীয় সময় রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান পুলিশ কমিশনার মাইক বুশ। আর আহত ৪৭ জনের মধ্যে দু’ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

মসজিদে নামাজ আদায় করতে গেলেও একটু দেরিতে যাওয়ায় বেঁচে যান নিউজিল্যান্ডে সফররত বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।

ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলায় নিহতদের পরিচয় শনাক্তের পর আজ থেকে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।