নিহত চারজন বাংলাদেশী সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে
ই-বার্তা ডেস্ক ।। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় এখনো পর্যন্ত চারজন বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন বলে সেখানে বাংলাদেশের দূতাবাসের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
দূতাবাসের অনারারি কনসাল শফিকুর রহমান ভুঁইয়া বিবিসি বাংলাকে দুজনের কথা আগেই জানিয়েছেন। তবে আজ আরও দুজনের কথা জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ।
কী তাদের পরিচয়, তারা কী করতেন, বাংলাদেশে কোথায় তাদের বাড়ি আর কিভাবে তাদের স্মরণ করছেন স্বজনেরা?
হোসনে আরা ফরিদ
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষিপাশা ইউনিয়নের, জাঙ্গাঁলহাটা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন হোসনে আরা ফরিদ।
বয়স ৪৫ বছরের মতো, বলছিলেন তার ভাগ্নে দেলোয়ার হোসেন। তবে তারা একই সাথে বড় হয়েছেন কারণ বয়স তাদের কাছাকাছি।
১৯৯৪ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডে থাকতেন হোসনে আরা ফরিদ।
দেলোয়ার হোসেন বলছিলেন, ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশে ছিলেন। সেবছর বিয়ের পরই তিনি স্বামীর সাথে নিউজিল্যান্ডে চলে যান। এরপর থেকে সেখানেই থাকতেন।
ড. আবদুস সামাদ
ক্রাইস্টচার্চে লিঙ্কন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্বের একজন শিক্ষক ছিলেন ড. আবদুস সামাদ। এর আগে ড. সামাদ বাংলাদেশে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একই বিষয়ে শিক্ষকতা করতেন।
যে মসজিদে তার মৃত্যু হয়েছে সেখানে তিনি মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করতেন।
বাংলাদেশে তার বাড়ি ছিল কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার মধুরহাইল্লা গ্রামে।
ময়মনসিংহে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে তার মৃত্যুতে এক বিমর্ষ পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানাচ্ছিলেন অধ্যাপক ওয়াহাব।
ডা: মোজাম্মেল হক
চারজনের মধ্যে নতুন যে আরও দুটো নাম এসেছে তার মধ্যে রয়েছে ডা: মোজাম্মেল হকের নাম।
বাংলাদেশ দূতাবাসের অনারারি কনসাল শফিকুর রহমান ভুঁইয়া জানিয়েছেন, তিনি ঢাকার কাছে নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ছিলেন।
বাংলাদেশে একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে দাঁতের ডাক্তারি পাশ করেছেন। এরপর ডেন্টিস্ট্রির উদ্ধতর প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন ক্রাইস্টচার্চ।
কোথাও প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন কিনা সেবিষয়ে বিস্তারিত তথ্য বা অন্য কোন তথ্য দিতে পারেননি তিনি।
ওমর ফারুক
সর্বশেষ জানা গেছে ওমর ফারুক নামে আর এক ব্যক্তির নাম। তারা বাড়ি গাজীপুর এতটুকু তথ্যই শুধু পাওয়া গেছে।
ই-বার্তা / শাহাদাত ছৈয়াল