নুসরাত হত্যায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট

ই-বার্তা।।  ফেনীর সোনাগাজীর ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা অধ্যক্ষের নিপীড়নের শিকার হয়ে তার লোকজনের দেয়া আগুনে নিহত মাদরাসা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফির ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।একইসঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিচারের আওতায় আনতে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তরের নির্দেশ চেয়েছেন রিটকারী।

বুধবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এই রিট করেন।

রিটে বিবাদী করা হয়েছে পাঁচ জনকে। তারা হলেন— স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ফেনী পুলিশ সুপার ও সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।

পরে রিটকারী আইনজীবী রিটটি শুনানির জন্য বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চে উপস্থাপন করেন। মামলার তদন্তের কাজ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ানের (র্যাব) কাছে হস্তান্তরের নির্দেশনাও চেয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি। তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে এমন সংবাদে তিনি ছাদে যান। সেখানে বোরকাপরা ৪-৫ জন তাকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়।

অস্বীকৃতি জানালে তারা রাফির গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোমবার রাতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

এর আগে ২৭ মার্চ ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। ওই দিনই অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলাকে আটক করে পুলিশ। সে ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

এদিকে নুসরাত গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেলের আইসিইউতেই মারা যান। পরদিন জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।