নেপথ্যের ব্যক্তিদের খুঁজতে কমিশন গঠনের চিন্তা করা হচ্ছে: আইনমন্ত্রী

ই- বার্তা ডেস্ক।।   আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মন্তব্য করেছেন যে, বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের নায়কদের খুঁজে বের করতে কমিশন গঠনের চিন্তা করা হচ্ছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরু করা হবে।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘শোকের মাস, ষড়যন্ত্রের মাস আগস্ট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আনিসুল হক আরও বলেন, ১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমান বাধ্য হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে তিনি (জিয়া) কোনো অবদান রাখেননি; পাকিস্তানি বাহিনীকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। এ কারণে আমি তাকে মুক্তিযোদ্ধা মনে করি না। আর যাই হন না কেন, জিয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না।

তিনি বলেন, মানুষের প্রথম চাহিদা খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থান। এগুলোর চাহিদা পূরণ হলে মানুষ অন্যসব চাহিদা দাবি করে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মানুষের এখন মৌলিক চাহিদা পূরণ হয়েছে। এ কারণে এখন এদেশের মানুষ বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য নায়কদের খুঁজে বের করার দাবি তুলছে।

আইনমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর কাছে দেশের মানুষের একটা ঋণ রয়েছে; সেটা হল দেশের উন্নয়ন কাজে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে সহযোগিতা করা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের সবার উচিত বঙ্গবন্ধুকন্যাকে সহযোগিতা করা।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের আংশিক বিচার হয়েছে। এখনও এর নেপথ্যের নায়ক কারা তাদের খুঁজে বের করা হয়নি। বাংলাদেশের জনগণের দাবি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে নায়কদের খুঁজে বের করা।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে নায়কদের খুঁজে বের করতে একটি কমিশন গঠন করে কার্যক্রম শুরু করতে হবে। আমরা মনে করি এ কমিশনের তদন্তে নেপথ্যের নায়কদের মুখোশ নতুন প্রজন্মের সামনে উন্মোচন করা যাবে।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন- এটা দিবালোকের মতো পরিষ্কার। হত্যাকাণ্ডের দিন সারারাত জিয়াউর রহমান জেগে ছিলেন এবং সব কার্যক্রম মনিটরিং করেছেন। এসব তথ্যবহুল ও দিবালোকের মতো স্পষ্ট।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট, ১৭ আগস্ট ও ২১ আগস্ট বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। স্বাধীনতাবিরোধীরা এসব ষড়যন্ত্র করেছিল। তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে একজন ভুয়া জন্মদিন পালন করেন। শোকের দিনে এমন উৎসবকে ঘৃণা জানাই।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তৃব্য দেন সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান, মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলি শিকদার, সাবেক সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত সচিব একেএম আতিকুর রহমান প্রমুখ। আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল)।