নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১০

ই-বার্তা ডেস্ক।।  বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার জীরতলী বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  এতে পাঁচজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।                             

এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও যুবলীগ নেতা মাসুদ চৌধুরী, হৃদয় হোসেন, নাজিমুদ্দিন, আরাফাতসহ পাঁচজন।  তাদেরকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  এছাড়া অন্যান্য আহতদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।                                                                                                        

স্থানীয়রা জানায় , চলতি বছরের ২৯ মার্চ জিরতলী বাজারের ইজারা (ডাক) ঘোষণা করা হয়।  ইজারার দায়িত্ব পান স্থানীয় মন্নান নামের এক ব্যক্তি।  পরে ওই বাজারে ইজারার টাকা তোলার দায়িত্ব দেয়া হয় যুবলীগ নেতা মাসুদ চৌধুরীকে। 

আওয়ামী লীগ নেতা ও জিরতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিলন ইজারা নেয়ার বিষয় মানতে রাজী হয়নি। বুধবার যুবলীগ নেতা মাসুদ চৌধুরী ইজারার টাকা তুলতে গেলে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ সময় স্থানীয় চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিলন তার শর্টগান থেকে এলোপাতাড়ি গুলি করলে সংঘর্ষ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ে।  এতে গুলিবিদ্ধসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।

গুলিবিদ্ধ মাসুদ চৌধুরীর ভাই মোশারফ হোসেন বাবুল অভিযোগ করেন, মন্নান ইজারা পেলেও রফিকুল ইসলাম মিলন চেয়ারম্যানের লোকজন টাকা তুলতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ করলেও চেয়ারম্যান তাদের উল্টো হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন।  চেয়ারম্যান মাসুদকে গুলি করারও হুমকি দেয়।  এর সূত্র ধরে বুধবার রাতে নিজেই তার শর্টগান দিয়ে গুলি করলে মাসুদ চৌধুরী, হৃদয় হোসেন, নাজিমুদ্দিন, আরাফাতসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়।

বেগমগঞ্জ থানার ওসি ফিরোজ মোল্লা জানান, বাজারের ইজারার টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিলন এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি দেলওয়ার হোসেন বাদশার সমর্থিতদের মধ্যে এ সংঘর্ঘের ঘটনা ঘটেছে।

ই-বার্তা/সালাউদ্দিন সাজু