নোয়াখালীতে কাজী শিপনের বিরুদ্ধে কোটি টাকার প্রতারনা ও জালিয়াতি মামলা

ই-বার্তা ডেস্ক  ।।   নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলার ৩ নং জিরতলী ইউপির নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার কাজী নুরুল আফছার শিপন ওরফে এম এন আফছারের বিরুদ্ধে প্রায় ১ কোটি টাকা প্রতারনা ও জালিয়াতির অভিযোগ।  আদালতে রয়েছে অর্ধ ডজন মামলা। কয়েকটি মামলায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি  করেছে।

বিবাদী কাজী নুরুল আফছার শিপন ৩ নং জিরতলী ইউপির ফাজিলপুর গ্রামের আজিব উল্যার ছেলে। বর্তমান জিরতলী ইউনিয়নের কাজীর দায়িত্বে আছেন। প্রতারনা ও জালিয়াতি মামলার পাশাপাশি কাজী শিপনের বিরুদ্ধে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়ান ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নং আমলী আদালত ও ৫ নং বিচারিক আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহিতারও ২ টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। মামলা গুলো হলো জি আর নং- ৩০২/২০১৪ইং এবং জি আর নং-১৩৭৩/২০১৪ ইং। বর্তমানে সে একাধিক মামলার পলাতক ফেরারি আসামি। 

পলাতক ফেরারি আসামি কাজী শিপনকে গত ১৮ অগাস্ট’ ২০২১ তারিখে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে কাজী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।স্থানীয়রা বলছে, পলাতক আসামি শিপনকে কাজী হিসেবে অবৈধ ভাবে নিয়োগ দিয়েছে নোয়াখালী জেলার রেজিস্ট্রার আবদুল খালেক। প্রতারনা ও জালিয়াতি এবং রাষ্ট্র দ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত পলাতক আসামি হয়েও শিপনকে কাজী হিসেবে এই নিয়োগ দেয়া হয়েছে।কাজী নিয়োগ বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার আবদুল খালেকের কাছে জানতে চাইলে, সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন,তার বিরুদ্ধে এতগুলো মামলা এবং কোটের গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি বলেন, আপনারা অভিযোগ দিন,আমি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব।তিনি আরও বলেন, জিরতলী ইউনিয়নের কাজী নিয়োগে আমার কোন হাত নেই।

অপরদিকে প্রতারক কাজী শিপনের বিরুদ্ধে কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির নামে বেগমগঞ্জ থানার বর অভিরামপুর গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে রেজাউল করিম(২৭)থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। শিপনের নিয়ন্ত্রণে থাকা প্রতারক রেজাউল করিম থেকে ২০ লাখ টাকা নিয়ে গত ১৫ এপ্রিল’ ২০১৯ইং সালে ভুক্তভোগী রেজাউল করিমকে জাল ভিসা ও জাল বিমানের টিকিট প্রদান করেন। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী রেজাউল করিম ২০২১ ইং সালে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নং আমলী আদালতে (বেগমগঞ্জ)তিনটি মামলা দায়ের করেন।এইদিকে একেই আদালতে কাজী নুরুল আফছার শিপনের বিরুধে সোনাইমুড়ী উপজেলার বারাহী নগর গ্রামের মোঃজাফর আহমেদের মেয়ে নাজমুন নাহার তানুকে (২৪) কানাডায় পাঠানোর নামে কাজী শিপন ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।টাকা হাতিয়ে নিয়ে শিপন।

এই ছাড়াও জিরতলী ইউনিয়নের  আমির হোসেনের স্ত্রী ফাতিমা আক্তার(৩৫) শিপনের বিরুদ্ধে একেই আদালতে প্রতারনা ও ৪২ লাখ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ এনে শিপনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।পিটিশন নং ৫৭৬/২০১৯ ইং সি আর মামলা নং ৪৫২/২০২১ ইং।